spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

খালেদা জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া উচিত : মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আদালত ব্যবস্থায়ই যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও জানান মিসেস এলিস। গত শুক্রবার দুপুরে নিউ ইয়র্কস্থ ফরেন প্রেস সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ ছাড়া তিনি কথা বলেন জিএসপি সুবিধা, রোহিঙ্গা ইস্যু ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে।

প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে এলিস ওয়েলস বলেন, আমরা যখনই কথা বলি তখনই গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়টি আমাদের আলাপ-আলোচনার টেবিলে থাকে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ভূমিকা, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের ভূমিকার বিষয়টি আমরা বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে আসছি, যাতে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। যেখানে সবাই একযোগে কাজ করতে পারে এ লক্ষ্যে যে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা যায় এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতের বিষয়টি সুনিশ্চিত করা যায়। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়টি নজরে রাখতে আমরা নানা পদ্ধতিতে আমাদের মূল্যায়নে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আমরা প্রতি বছর বাংলাদেশ নিয়ে মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকি, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবপাচারের বিষয়েও আমরা প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকি। এসব প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা বিচার বিশ্লেষণ করি।

বেগম খালেদা জিয়া প্রশ্নে ওয়েলস বলেন, আমার বেগম জিয়ার বিষয়ে সরকারের সাথে প্রায়ই কথা বলেছি। আদালত ব্যবস্থার মধ্যেই বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন, যেমনটা অন্যান্য নাগরিক পেয়ে থাকেন। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে সহাকারী এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সহায়তাকারী দেশ। যাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চাপ কিছুটা লাঘব হয়।

পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারের নেতাদের ওপর কার্যকর চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছি, যাতে তারা বাংলাদেশের সাথে সঙ্কট নিরসনে আলোচনার টেবিলে বসে এবং কফি আনান প্রতিবেদনের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করে। তিনি আরো জানান, মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে তাদের একজন কমান্ডার, দুইজন ডেপুটি কমান্ডার, দুই জেনারেলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মার্কিন মন্ত্রী মনে করেন, রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে।

এলিস ওয়েলস আরো বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, মিয়ানমার সরকারকে এটি সুনিশ্চিত করতে হবে যে রোহিঙ্গারা তাদের বসত ভিটায় ফিরে গিয়ে কোনো ধরনের ভয়ভীতি ব্যতিরেকে, জীবনহানির আশঙ্কা মুক্ত হয়ে সেখানে জীবন ধারণ করতে পারে। সে বিষয়টি অনুধাবন করার জন্য আইডিপির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দিতে হবে। বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দেয়া হবে কি না প্রশ্নের জবাবে এলিস জানান, বাংলাদেশ গার্মেন্ট সেক্টর অনেক উন্নতি করছে। শ্রমিকদের জীবন-মান উন্নয়নে এরা কাজ করে যাচ্ছে। জিএসপি সুবিধা দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চলছে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ