spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

কলকাতায় ক্রিকেটমঞ্চে খুলতে পারে তিস্তার জট : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: তিস্তার পানি নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। কলকাতায় শুক্রবার নবম বাংলাদেশ বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের তিনি ‘একারণেই তিস্তার পানি পাওয়ার আগেই ফেনি নদীর পানি ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

মোমেন জানান, ‘দুই দেশের সম্পর্ক চিরকালই অতি নিবিড়। ২২ নভেম্বর, ভারতবর্ষ তথা বাংলার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছেন ইডেন গার্ডেনস-এ ভারত বাংলাদেশ ডে-নাইট টেস্ট ম্যাচ দেখতে। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। তাদের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’ কলকাতায় ক্রিকেটের মঞ্চে খুলতে পারে তিস্তার জট খুলতে পারে বলে আশাবাদী মন্ত্রী।

এছাড়াও মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ যথেষ্ট উদ্যোগী। কিন্তু রোহিঙ্গারা মিয়ানমারকে বিশ্বাস করে না। ভারতের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক ভালো। তাই, ভারত মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যার সমাধানে সাহায্য করুক। আমরা চাই, ৪ লক্ষ রহিঙ্গা নিজেদের দেশে ফিরুক।’

ফিশারম্যান নিয়ে এদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর জন্য দুই দেশের সম্পর্ক কখনই খারাপ হবে না। খুব শীঘ্রই সমস্যার মিটবে।’ তবে কবে ছাড়া হবে তা তার জানা নেই।

এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হল বাংলাদেশ নবম বই মেলার। বইমেলার উদ্বোধন করেন বাংলার বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি বইয়ের সম্ভার স্থান পেয়েছে এবারের বই মেলায়। আনুমানিক ৮৪ জন প্রকাশকের বিপুল সম্ভার পাওয়া যাবে ৬০ টি স্টলে। জায়গার অভাবে অনেক স্টলে আবার দুই জন প্রকাশককে একসাথে জায়গা দেয়া হয়েছে।

এদিন কবি শঙ্খ ঘোষ বলেন, সাহিত্য ও ভাষা’র একটি বিশেষ ভূমিকা আছে জাতি ও দেশ গঠনে। এমনকি ইতিহাস সৃষ্টি করে সাহিত্য ও ভাষা। এর মাধ্যমেই অজ্ঞানতা দূর হয়। প্রতি বছরের মত মেলা প্রাঙ্গনে এবারও থাকছে সংস্কৃতিক সম্ভার। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডেপুট হাই কমিশনার তৌফিক হাসান, মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) দেবাশিস কুমার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য অনেক আপন। নবম বাংলাদেশ বইমেলা দুই বাংলার সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দুই বাংলাকে যৌথভাবে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও মোমেন জানান।

সূত্র : ভারতীয় গণমাধ্যম দৈনিক যুগশঙ্খ

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ