প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: আন্দোলন চলমান থাকলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ উল্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বুধবার বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ তা না হলে শক্তি প্রয়োগ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ডয়চে ভেলে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার তার কার্যালয় ঘেরাও করা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ৷ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো এই ঘটনাকে ছাত্রলীগের গণঅভ্যুত্থান হিসেবে অভিহিত করেন উপাচার্য ফারজানা ইসলাম৷
এ প্রসঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ মঞ্চের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ভিসি ফারজানা ইসলাম আর তাঁর পদে থাকতে পারেন না৷ তিনি নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত৷ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে ছাত্রলীগকে চাঁদা দিয়েছেন, তা প্রমাণিত৷ ই-টেন্ডার না ডেকে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়েছেন৷ এ নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান লিখিত অভিযোগও দিয়েছে৷ আর সর্বশেষ তিনি ছাত্রলীগকে দিয়ে হামলা চালিয়েছেন৷ তিনি ভিসি পদের থাকার সব নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন৷
আর গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, ভিসি একজন স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ, তিনি স্বীকারও করেছেন৷ আমরা তিন মাস ধরে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে আছি৷ এখন আমাদের ওপর আঘাত করা হচ্ছে৷ ছাত্রলীগকে দিয়ে হামলা করানো হচ্ছে৷ শক্তি প্রয়োগ করছেন৷
তিনি বলেন, এই ধরনের একজন ভিসিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা মেনে নেবে না৷ তাকে চলেই যেতে হবে৷ আমরা তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো৷
মঙ্গলবারের হামলায় আহত অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, ওনার (উপাচার্য) ক্ষমতার উৎস কী আমরাও বুঝতে পারছি না৷ উনি বলছেন রাষ্ট্রপতি না বলা পর্যন্ত পদত্যাগ করবেন না৷ হয়তো সেই পর্যন্ত তিনি যেভাবেই হোক টিকে থাকতে চাইছেন৷ রাষ্ট্র থেকে তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়া পর্যন্ত তিনি এগুলো করতে থাকবেন৷ মঙ্গলবার হামলা করা হয়েছে৷ এখন শক্তি প্রয়োগের হুমকি দেয়া হচ্ছে৷
তিনি আরো বলেন, আমরা কোনো ফাঁদে পা দেব না, আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো৷ কোনো উস্কানি আমাদের আন্দোলন ক্ষত্রিগ্রস্ত যাতে না করতে পারে সে ব্যাপারে আমরা কৌশলী হবো ।