spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক::  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়া অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট নিতে সম্মতি দিয়েছেন কি না, দিয়ে থাকলে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা কী, সে বিষয়ে রিপোর্ট দাখিল করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে বলা হয়েছে। বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে এ রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। বৃহস্পতিবার জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দুপুরে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনে আদালত এ আদেশ দেয়। এদিন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং রাষ্ট্রপক্ষে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন।

এরআগে সকালে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী সময় চাইলে আদালত দুপুর দুইটায় শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেন।
এসময় শুনানির জন্য বিএনপির আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত না থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এদিকে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সকাল থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তা লক্ষ্য করা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটের প্রবেশপথে তল্লাশি এবং পরিচয়পত্র চেক করে জনসাধারণকে সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় প্রবেশ করতে দেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার জামিন আবেদনটি দাখিল করেন আইনজীবী সগির হোসেন লিয়ন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি উল্লেখ করে এই জামিন আবেদন করা হয়।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক ও খালেদা জিয়ার অন্যতম জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন মানবজমিনকে বলেন, জামিন আবেদনে বেগম জিয়ার গুরুতর অসুস্থের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। চিকিৎসকরাই বলেছেন, তার অ্যাডভান্স চিকিৎসা প্রয়োজন। তিনি পঙ্গুত্বের দিকে চলে যাচ্ছেন। পিজি হাসপাতালেতো তিনি বহু দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অথচ তার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। বরং অসুস্থতা আরো বেড়ে গেছে। এমন কিছু ওষুধ ও ইনজেকশনের কথা বলা হচ্ছে, যেগুলো দেশে পুশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তার ইচ্ছামতো দেশী-বিদেশী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামিন আবেদন করা হয়েছে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ