spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

ভয়াবহ মন্দা আসন্ন, ছাড়িয়ে যাবে অতীতের সব রেকর্ড: জাতিসংঘ

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বকে অর্থনৈতিক মন্দার দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে এক বিশ্ব মন্দা, যার মাত্রা হয়ত অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

মারণ এই ভাইরাসের মোকাবেলায় দেশে দেশে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তা এই জটিল বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবেলায় যথেষ্ট নয় বলেও বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতিসংঘ মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, এটা এমন এক সময়, যখন বড় অর্থনীতির দেশগুলোকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে সমন্বিতভাবে উদ্ভাবনী কর্মপন্থা ঠিক করে কাজে নামতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা আজ এমন এক নজিরবিহীন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি, যখন সাধারণ কৌশল কোনো কাজে আসবে না।

গুতেরেস বলেন, পুরো বিশ্ব এখন একটি শত্রুর মুখোমুখি, আমরা লড়ছি এক ভাইরাসের বিরুদ্ধে। বিশ্বনেতাদের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা একজোট হয়ে জরুরি ভিত্তিতে এই বিশ্ব সঙ্কট মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করুন।

এসময় তিনি স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানান সরকারগুলোর প্রতি। সেই সঙ্গে যেসব দেশ এখনও যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে পারেনি, তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান গুতেরেস।

তিনি বলেন, কোনো ধনী দেশ যেন এটা মনে না করে যে কেবল তার দেশের নাগরিকদের সমস্যা মিটলেই সঙ্কটের সমাধান হয়ে যাবে। বরং নিজেদের স্বার্থেই তাদের উচিৎ অন্য দেশগুলোকে সহায়তা করা, কেননা যে কোনো সময় যে কোনো দিক থেকে সঙ্কটের উদ্ভব হতে পারে।

আগামী সপ্তাহে জি ২০ দেশগুলোর জরুরি বৈঠকে যোগ দেবেন জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, জি ২০ সদস্য দেশগুলোর প্রতি আমার জোর আহ্বান, আপানারা আফ্রিকা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর দিকে নজর দিন। তাদেরকে আমাদের সহযোগিতা করতেই হবে, কারণ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখন তাদের দিকেই যাচ্ছে এবং তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা খুবই নাজুক।

‘ফলে উন্নত দেশগুলোর সহায়তা এখন তাদের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন। আমরা যদি সেই সহযোগিতা দিতে না পারি, তার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। মৃত্যু হতে পারে লাখ লাখ মানুষের।’

প্রসঙ্গত করোনায় বিশ্বজুড়ে কেড়ে নিয়েছে প্রায় দশ হাজার মানুষের প্রাণ, আক্রান্ত হয়েছে দুই লাখের বেশি মানুষ।

এখন এ রোগের প্রদুর্ভাবের নতুন কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠেছে ইউরোপ, যার উৎপত্তি হয়েছিল ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ