প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: দুই বছরের বেশি সময় কারান্তরীন খালেদা জিয়া এখন মুক্তির অপেক্ষায়। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষ হলেই হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরবেন তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি দণ্ড পেয়ে কারাগারে যান তিনি। শুরুতে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারে রাখা হয়েছিল তাকে। পরে অসুস্থ হয়ে নেয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় হাসপাতালে। দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিরাজমান পরিস্থিতির মধ্যেই আজ তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। বয়স ও মানবিক বিবেচনায় তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার মুক্তি সংক্রান্ত নথি বিকালে আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নথি পাঠানো হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। এরপর এ নথি যাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তিনি অনুমোদন দিলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুক্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা কারাগারে পাঠাবে। পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করা হচ্ছিল দীর্ঘ দিন থেকে। তবে সরকারের তরফে বলা হচ্ছিল এটি আদালতের বিষয়। আইনী প্রক্রিয়াই তিনি মুক্ত হবেন।
দুপুরের সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল হক বলেন, তার (খালেদা জিয়া) সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করার শর্তে এবং ওই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এই শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি মতামত দিয়েছি। সেই মতামত এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে গেছে। তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, আগে ৬ মাস যাক, তারপর দেখা যাবে। তিনি বলেন, এখানে কিন্তু বলা হচ্ছে না তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন না। সেটা তার অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। তবে শর্ত হচ্ছে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
আইনমন্ত্রী আরো জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এই সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হচ্ছে আইনি প্রক্রিয়ায় দুই শর্তে দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। সরকার মানবিক কারণে সদয় হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা (উপধারা-১) অনুযায়ী এটা আইনি প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে।