প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: মাঝখানে কয়েকদিন কম ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। একদিন মোটেও ছিল না। কিন্তু সবকিছু ছাড়িয়ে আজ আবার করোনা শনাক্ত হল ৭ জনের। এরমধ্যে সেই চট্টগ্রামের উহান সাতকানিয়া উপজেলার ৬ জন। একজন নগরীর দামপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি ল্যাবে ১০১ নমুনা পরীক্ষায় নতুন এই সাতজনের করোনা শনাক্ত হয়। সবমিলিয়ে চট্টগ্রামে করোনা রোগী বেড়ে দাড়ায় ৫৫ জনে। সোমবার সকালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আজ ১০১ নমুনা পরীক্ষায় ১০জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে সাতকানিয়ার ৬ জন, নগরের দামপাড়ার ১ জন ও লক্ষীপুরে ৩ জন। সাতকানিয়ায় আক্রান্তরা উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের রূপনগর এলাকার। এরা একই পরিবারের। এদের মধ্যে ১৪ ও ১৫ বছরের দুই কিশোর, ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা, ৫৬ বছরের এক পুরুষ এবং ৪৫ ও ৩২ বছর বয়সী দুই নারী রয়েছেন।
অন্যদিকে নগরীর দামপাড়ায় আবারও করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি পুলিশ সদস্য। ৪৯ বছর বয়সী এই ট্রাফিক সদস্য আগের শনাক্ত হওয়া ট্রাফিক সদস্যদের সংস্পর্শে ছিলেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। নগরীর দামপাড়ায় ৬৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার ওমরা ফেরত মেয়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হন বলে ধারণা। এরপর ৫ এপ্রিল দ্বিতীয় করোনারোগী শনাক্ত হন ওই ব্যক্তির ২৫ বছর বয়সী ছেলে।
৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্ত হন ৩০ জন। ওইদিন সর্বোচ্চ ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরমধ্যে এক চিকিৎসক, সাতকানিয়ার পাঁচ যুবক ও নগরীর সাগরিকা এলাকার এক পরিবারের চারজন করোনায় আক্রান্ত হন।
এরপর ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয় ৫, ১, ১ ও ১ জনে। ১৯ এপ্রিল বেড়ে ধরা পড়ে ৪ জনের শরীরে। ২১ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল ৩ জন করোনা শনাক্ত হয়। ২৩ এপ্রিল কোন আক্রান্ত ছিল না। ২৪ এপ্রিল একজন, ২৫ এপ্রিল দুইজন শনাক্ত হয়। সর্বশেষ আজ একলাফে ৭ জন শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্ত বেড়ে দাড়ায় ৫৫ জনে।
এছাড়া ঢাকা ও রাজবাড়ীতে শনাক্ত হওয়া তিনজন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় চট্টগ্রামে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ৫৮ জন। করোনায় এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে এক শিশু, দুই বৃদ্ধ ও দুই নারীসহ মোট পাঁচজন মারা গেছেন। আইসোলেশনে মারা গেছেন পাঁচজন। মৃত্যুর পর তাদের নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসে। করোনার সাথে লড়াইয়ে জয়ী হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ নারী-পুরুষ। ২৮ জন আইসোলেশনে ভর্তি আছেন।