প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃর্নোঙ্গরের পর এবার বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত জাহাজ থেকেও সবধরনের পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে গেছে। জেটিতে অবস্থানরত সব জাহাজকে মঙ্গলবার সকাল ৯ টার মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বহিঃর্নোঙ্গরে। এর আগে সোমবার সাগর উত্তাল হয়ে ওঠার কারণে বন্দরের বহিঃর্নোঙরে অবস্থিত মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ) জাহাজ থেকে লাইটার (ছোট আকারের) জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ করা হয়েছিল।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে টানা দুই মাসের অঘোষিত লকডাউনের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস ও ডেলিভারিতে এমনিতেই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার আগেই আবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব চট্টগ্রাম বন্দরকে নতুন সংকটের মুখোমুখি করেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে ৪৪ হাজার কনটেইনার জমা ছিল। যা ধারণ ক্ষমতা ছুঁই ছুঁই।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক মঙ্গলবার বিকেলে যুগান্তরকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে
আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। সে অনুযায়ী তারা বন্দরের নিজস্ব এলার্ট-৩ জারি করেছেন। এলার্ট অনুযয়ী বহির্নোঙ্গর ও জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়ার পাশপাশি জেটিতে থাকা ১৮ টি জাহাজ বহির্নোঙ্গরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সকাল ৯ টার মধ্যে। ছোট ছোট সব নৌযানকে কর্ণফুলীর উজানে শাহ আমানত সেতুর দিকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে।
বন্দরের গ্যান্টিক্রেনসহ সবধরনের যন্ত্রপাতির নিরাপদে রাখতে রশি দিয়ে বেঁধে রাখাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বন্দরের জেটিতে ১১ টি কনটেইনার জাহাজসহ মোট ১৯টি জাহাজ ছিল। বহির্নোঙরে ছিল ৫১টি মাদার ভেসেল বা বাড় জাহাজ। সোমবার বিকালেই বহির্নোঙ্গরের অবস্থানরত জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করা হয়।
মঙ্গলবার জেটিতে অবস্থানরত জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে সেগুলোকে গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়। লাইটার জাহাজ ও কোস্টার ভ্যাসেলগুলোকে চ্যানেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গুপ্তখাল বাংলাবাজার ও শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এসব ভেসেল।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য জাফর আলম বলেছেন, আপাতত চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় কেটে গেলে যাতে দ্রুত বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করা যায় সে জন্য তাদের প্রস্তুতি রয়েছে।