খালেদা জিয়ার সঙ্গে জ্যেষ্ঠ নেতা ও স্বজনদের সাক্ষাৎ

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: কারাগারে চারটি ঈদ পার করার পর এবার মুক্ত পরিবেশে ভাই-বোনদের সঙ্গে নিয়ে ঘরবন্দি ঈদ করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

ঈদের দিন দীর্ঘ আড়াই বছর পর দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

কথা বলেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গেও। টেলিফোনে স্বাস্থ্যের খবর নিয়েছেন করোনা আক্রান্ত্র গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। পাঠিয়েছেন ফুল ও ফল।

সোমবার ঈদের দিন রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার গুলশানের বাসায় যান। সামাজিক দূরত্ব মেনে তারা চেয়ারপারসনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ঈদের পরের দিন বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। আর বুধবার রাতে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে খালেদা জিয়ার বাসায় যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।

ঈদের শুভেচ্ছা শেষে বেরিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, করোনা মহামারী প্রতিরোধে দেশবাসীকে ঘরে থাকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন আমাদের চেয়ারপারসন।

এ সংকট মোকাবেলা করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের সাজা স্থগিত করে মুক্ত হওয়ার পর স্থায়ী কমিটির সদস্যদের দলীয় প্রধানের সঙ্গে এটি প্রথম সাক্ষাৎ। রাত সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গুলশানে ‘ফিরোজা’য় দোতলায় এ সাক্ষাৎ হয়।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দলীয় প্রধানের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ইমপ্রুভমেন্ট যেটুকু হয়েছে, তা হচ্ছে তার মানসিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। শারীরিক অবস্থার তার খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি।

স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চেয়ারপারসনের সাক্ষাতে বেশিরভাগ কথা হয়েছে করোনাভাইরাস ও দেশবাসীর দুঃখ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। চেয়ারপারসন কমই বলেছেন, শুনেছেন বেশি। নেতাদের বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আপনারা দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে ফিরোজায় যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতিমা। দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা বাসায় ছিলেন। এরপর যান খালেদা জিয়ার সেজ বোন সেলিমা ইসলাম। লন্ডনে থাকা বড় ছেলে তারেক রহমান সকালেই টেলিফোন করে মায়ের সঙ্গে কথা বলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

তারেকের স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি এবং নাতনি জায়মা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানের সঙ্গেও কথা বলছেন খালেদা জিয়া।

জানতে চাইলে মাহমুদুর রহমান মান্না টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। ৩৫-৪০ মিনিটের মতো উনার সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পর দলের যুগ্ম-মহাসচিব ও আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।

সর্বশেষ