‘পশুর চেয়েও খারাপ আচরণের শিকার কোভিড রোগীরা’

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: করোনা রোগীদের সঙ্গে পশুর চেয়েও খারাপ আচরণ করা হচ্ছে বলে দিল্লি সরকারকে তিরস্কার করেছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ আদালত। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

শুক্রবার বিচারপতিরা বলেন, করোনা রোগীদের সঙ্গে পশুর থেকেও খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি ক্ষেত্রে তো, একজন করোনা রোগীর দেহ আবর্জনার স্তূপের মধ্যে পাওয়া গেছে। একের পর এক রোগী মারা যাচ্ছে কিন্তু কেউই তাদের সামান্যতম সাহায্য করার জন্য নেই।

পাশাপাশি দিল্লিতে কম সংখ্যক করোনা টেস্টের বিষয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ভারতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর নতুন করে ৩৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দিল্লি সরকারকে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, যখন চেন্নাই ও মুম্বাই করোনা টেস্টের সংখ্যা প্রতিদিন ১৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৭ হাজার করা হচ্ছে তখন কেন আপনার রাজ্যে এই পরীক্ষা দিনে ৭ হাজার থেকে ৫ হাজারে নেমে গেছে? কেন্দ্রের নির্দেশ ঠিকভাবে অনুসরণ না করায় আপ সরকারকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

‘দিল্লির পরিস্থিতি শোচনীয়, ভয়ঙ্কর এবং উদ্বেগের। সেখানকার হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতিও অত্যন্ত খারাপ, এমনকী মৃতদেহগুলোকেও ঠিকভাবে রাখা হচ্ছে না। রোগীদের পরিবারকেও মৃত্যুর খবর ঠিকমতো জানানো হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো পরিবারও শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারেনি।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুর পরেই করোনা সংক্রমণের হিসাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৮৭ জন রোগী রয়েছে এবং ১ হাজার ৮৫ জন মারা গেছে।

এর আগে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তার সরকার আশঙ্কা করছেন, দিল্লিতে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫ লাখে পৌঁছে যাবে। তবে এই মহামারী মোকাবেলায় সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তার সরকার, এমন দাবিও করেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী।

‘হাসপাতালে যথেষ্ট সংখ্যক বেড থাকা সত্ত্বেও ভর্তি হওয়ার জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগীদের ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তো এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে যে, দিল্লির সরকারি হাসপাতালের বারান্দা এবং ওয়েটিং রুমে লাশ পড়ে রয়েছে। অথচ ওয়ার্ডের ভেতরে বেশিরভাগ বেডই ফাঁকা রয়েছে।

সর্বশেষ