প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সেনানিবাসে প্রবেশ এবং সেনাবাহিনী সম্পর্কে লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী মিথ্যাচার করেছেন।
বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। উল্লেখ্য, লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর এনডিসির কমান্ড্যান্ট থাকাকালে সারওয়ার্দী একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এনডিসিতে পরিচালিত বিভিন্ন কোর্সের সঙ্গে বিদেশে ভ্রমণকালেও তিনি অনেক নারী নিয়ে চলাফেরা করেছেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তার অশোভনীয় আচরণ এবং মেলামেশার ছবি গোচরীভূত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ বিব্রত হয়েছে। এজন্য তাকে বিভিন্নভাবে উপদেশ দেয়া হয়।
এলপিআরে থাকাকালে সারওয়ার্দী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। এরপর সেনা আইনবহির্ভূত মেসকিট (সামরিক পোশাক) পরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
কিন্তু বিয়ের আগেই ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর থেকে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি একই বাসায় অনৈতিকভাবে অবস্থান করেন।
এমনকি বিয়ের আগেই তাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি পহেলা বৈশাখ উদযাপন, সাজেক রিসোর্ট, খাগড়াছড়িতে অবকাশ যাপন করেছেন। এছাড়া তারা বিভিন্ন সময় ভারত, থাইল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ ও অবস্থান করেছেন।
সামরিক ও অসামরিক পরিমণ্ডলে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। এছাড়া সারওয়ার্দী যাকে বিয়ে করেছেন তিনিও একজন বিতর্কিত নারী হিসেবে পরিচিত।
লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর (সম্প্রতি বিএ-২০০৪) এমন আচরণ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য অস্বস্তি ও বিব্রতকর।
এ ধরনের ঘটনা সেনাবাহিনীতে কর্মরত অফিসার এবং অন্যসব পদের মধ্যে নেতিবাচক উদাহরণ হিসেবে কাজ করে ও বিরূপ প্রভাব ফেলে। সামগ্রিক বিবেচনায় গত বছরের ১০ এপ্রিল তাকে সেনানিবাস ও সেনানিবাস আওতাভুক্ত এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, সেনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবাঞ্ছিত ব্যক্তির জন্য সেনানিবাস ও সেনানিবাসের আওতাভুক্ত সব স্থাপনা এবং সেনানিবাসের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা যেমন সিএমএইচে চিকিৎসাসেবা, অফিসার্স ক্লাব, সিএসডি শপ ইত্যাদিতে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। আইএসপিআর