প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুর সব স্প্যান বসবে। বিজয় দিবসের আগেই ৬.১৫ কিলোমিটারের পুরো সেতু দৃশ্যমান করার লক্ষ্য সেতু কর্তৃপক্ষের। তবে, সব স্প্যান বসলেও বাকি থেকে যাবে সেতুতে রোড ও রেলওয়ে স্লাব স্থাপন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সেতু উদ্বোধন করতে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে।
বর্ষার শেষে শান্ত কুয়াশায় আচ্ছাদিত এখন পদ্মা। স্থির নদীর বুকে সগৌরবে দাঁড়িয়ে কোটি মানুষের স্বপ্নের সেতু। গেল কয়েক দিনের আবহাওয়া যেন পদ্মা নদীর মতোই আনপ্রেডিক্টেবল। শীতের আগমনের মধ্যেই ঝড়েছে বৃষ্টি, সাথে কুয়াশা। নদীর বুকে তাই দৃষ্টি সীমা বেশ সীমিত।
তবে, সীমিত দৃষ্টি সীমার মধ্যেও চোখে পড়ে হাজারো শ্রমিকের কাজে মুখর পদ্মাপাড়। শনিবার সবশেষ ৩৮তম স্প্যান বসায় দৃশ্যমান সেতুর পৌনে ছয় কিলোমিটার। আর মাত্র ৪৫০ মিটার হলেই দেখা যাবে পুরো পদ্মা সেতু।
আগামী বছরে বিজয়ের ৫০তম বর্ষে পদার্পণ করবে বাংলাদেশ। তাই ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগেই পদ্মা সেতু চালুর টার্গেট সেতু কর্তৃপক্ষের। সেজন্য অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে।
শুক্রবার পর্যন্ত সেতুর ২৯১৭টি রোডওয়ে স্লাবের মধ্যে বসেছে ১২৩৯টি। আর রেল স্লাব ২৯৬৫ টির মধ্যে ১৮৪৮টি বসানো হয়েছে। জাজিরা প্রান্তের ২৩৪টির মধ্যে ৩৩টি সুপার টি গার্ডার বসানো বাকি। আর মাওয়া প্রান্তে ২০৪টির মধ্যে বসানো হয়েছে ৯৫টি।
সেতু বিভাগ জানায়, ৩০হাজার ১৯৩কোটি টাকার এ প্রকল্পের এখন পর্যন্ত কাজেরও অগ্রগতি ৮২ শতাংশ, নদী শাসন ৭৫ ও মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৯১ ভাগ।