‘ভোট ডাকাতি’ করে ক্ষমতাসীনরা পৌরসভা দখল করেছে: ফখরুল

 

- Advertisement -

প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’ করে ক্ষমতাসীনরা পৌরসভা দখল করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার বিকালে স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয়ক কমিটির এক সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।

ফখরুল বলেন, শনিবার অনুষ্ঠিত পৌরসভার প্রত্যেকটি নির্বাচনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা (সরকার) দখল করে নিয়ে গেল, ডাকাতি করে নিয়ে গেল। এমনকি একজন নির্বাচিত কাউন্সিলরকে খুন করা হয়েছে। এমনকি ইভিএমেও কারসাজি-কারচুপি করেছে। অর্থাৎ সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রকেই তারা আজকে নষ্ট করে ফেলেছে। নিজেরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পুক্ত করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে।

শাহজাহানপুরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয়ন কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় সভায় স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, আফরোজা খানম রীতা, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, আবুল কালাম আজাদ, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, হুমায়ুন কবির খান, তমিজ উদ্দিন, ফকির মাহবুব আলম স্বপন, মজিবুর রহমান, এলবার্ট পি কস্টা, শামসুজ্জামান সুরুজ, অপর্না রায়, নিপুণ রায় চৌধুরী, মেহেরুন নেছা হক, আকম মোজাম্মেল, এসএম কবির জিন্নাহ, আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান দীপু ভুঁইয়া, রবিউল ইসলাম রবি, মাজহারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অঙ্গসংগঠনের আফরোজা আব্বাস, কাজী আবুল বাশার, আবদুল আলীম নকি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, হাবিবুর রশীদ হাবিব, ইউনুস মৃধা, সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, রফিকুল আলম মজনু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান সালাহউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, গাজীপুরের কাজী ছায়েদুল আলম বাবুল, সালাহউদ্দিন সরকার, সোহরাব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দুভার্গ্য আমাদের আজ ৫০ বছর পরে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি আমরা দেখছি যে, আমাদের কোনো স্বাধীনতা নাই। আজকে আমাদের ন্যূনতম যে অধিকার, সংবিধান সম্মত যে অধিকার সেই অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে, আমাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এদেশের মানুষকে তার কথা বলার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, এদেশের মানুষকে তার সংগঠন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের একটি শ্রেণিকে বিপুল বিত্তের অধিকারী করা হচ্ছে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ তারা দারিদ্র্যের আরও অতল গহ্বরে চলে যাচ্ছে। আজকে আমাদের গণতন্ত্রকে লুণ্ঠন করা হয়েছে, মানবাধিকার লুণ্ঠন করা হয়েছে। সেই কারণে এই সুবর্ণ জয়ন্তীকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছি। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক সমাজ এবং সব মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই- এই হবে আমাদের লক্ষ্য।

বাংলাদেশে গভীর সংকট সৃষ্টি হয়েছে উল্লে­খ করে তিনি বলেন, এই সংকট শুধু রাজনৈতিক সংকট নয়, অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সেই সংকট মানুষের ন্যূনতম বাস করার যে পরিবেশ তার সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং স্বাধীনতার সংকট শুরু হয়েছে। আমাদের যে ন্যায্য অধিকারগুলো স্বাধীন দেশ হিসেবে সেগুলো আমরা পাচ্ছি না। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন বলা যেতে পারে সত্যিকার অর্থেই স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ নয়।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উদযাপনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস’ তুলে ধরতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।

সর্বশেষ