প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি মাদ্রাসায় আট বছর বয়সী এক ছাত্রকে বেধড়ক পেটানোর মামলায় গ্রেফতার মাদ্রাসাশিক্ষক মাওলানা মো. ইয়াহিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদা শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান, ইয়াহিয়াকে আজ আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
মাওলানা ইয়াহিয়া হাটহাজারী সদরের মারকাযুল ইসলামিক একাডেমি নামের হাফেজি মাদ্রাসার শিক্ষক। বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে ওই শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে নির্যাতনের অভিযোগে তার বাবা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আদালতে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, হেফজ বিভাগের শিশুটির জন্মদিন ছিল বুধবার। এ উপলক্ষে তাকে দেখতে মঙ্গলবার বিকালে মা-বাবা মাদ্রাসায় আসেন। তারা চলে যাওয়ার পরপরই শিশুটি মাদ্রাসা থেকে বাইরে বের হয়। তখন শিশুটিকে ধরে মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে মারধর করেন শিক্ষক ইয়াহিয়া। ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক ইয়াহিয়া শিশুটিকে ঘাড় ধরে মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে যান। পরে তিনি শিশুটিকে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটান।
মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে শিক্ষার্থী ইয়াসিন ফরহাদকে দেখতে যান তার মা পারভিন আক্তার। দেখা শেষে ফিরে আসার সময় ইয়াসিন ফরহাদ তার মায়ের পেছন পেছন ছুটে আসে। এ সময় হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মো. ইয়াহিয়া তাকে ধরে এনে বেদম প্রহার করে।
শিক্ষকের অমানষিক প্রহারের একটি ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, তাকে নির্মমভাবে প্রহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ওই মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষার্থী ইয়াসিন ফরহাদকে উদ্ধার করি এবং অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে পুলিশি হেফাজতে নিই। এ সময় ইয়াসিন ফরোদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার ব্যাপারে পুরোপুরি অবগত হই।