প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এলাকায় পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে আবারো ফেরির ধাক্কা লেগেছে। পদ্মা সেতুর পিলারে এটি চতুর্থবারের মতো ধাক্কা। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ১০ নম্বর পিলারে আঘাত হানে ফেরি কাকলি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই জাকির হোসেন।
শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া আসার পথে সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয় ফেরি কাকলি। ফেরিটির চালক মো: বাদল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, পদ্মা সেতুর সাথে ফেরির একাধিক ধাক্কার ঘটনায় মাওয়ায় ফেরি চালাচল করছে খুবই সীমিত। তারপরও চতুর্থবার সেতুর ১০ নম্বর পিলালে শুক্রবার সকালে ধাক্কা দেয় কাকলি। বিষয়টির স্থায়ী সমাধান হওয়া প্রয়োজন। পদ্মা সেতুর এই পয়েন্টের পিলারগুলোতে রাবার দিয়ে আটকিয়ে দিলে স্থায়ী সমাধান হতে পারে বলেও অনেকে ধারণা করছেন।
কাকলি ফেরিচালক বাদল হোসেন জানান, ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১১-১২ পিলারের মধ্য দিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু নদীর প্রচণ্ড স্রোত ও বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা লাগে। এতে ফেরিটির র্যাম্পের একটু ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া যাত্রী বা অন্য কোনো ক্ষতি হয়নি। পানির স্তরের উপরে থাকায় ফেরিতে পানিও ওঠেনি। পদ্মা সেতুর পিলারেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। ধাক্কা লাগার পর ফেরিটি নিয়ে নিরাপদে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে পেরেছি।
এর আগেও তিন বার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসার পথে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাত করে ফেরি। গত ২০ ও ২৩ জুলাই ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ আগস্ট ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করে। এসব ঘটনায় থানায় জিডি, তদন্ত কমিটি গঠন ও ফেরি চালকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এর মধ্যে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এসব দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয় ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর। ওই সময় ২০ জন যাত্রী আহত হন। গত ২৩ জুলাই সকাল ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর ৭ নম্বর পিলারের সাথে ধাক্কা খায় রো রো ফেরি শাহ জালাল। তখনো ২০ জন যাত্রী আহত হন।