প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: তিনি রীতিমত একজন বই পোকা মানুষ। বইই তার ধ্যান-জ্ঞান। আর এই বই নিয়েই জ্ঞানের আলোকবর্তিকা ছড়িয়ে দিতে চান সমগ্র বাংলাদেশে। তিনি নয়ন আহমেদ। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংএর স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করলেও শুধুমাত্র বই প্রেমের কারনেই কোন চাকুরি নয়নকে টানেনি। পথমে পড়ুয়া এর পর লাইব্রেরীর মালিক এবং পরে বইয়ের প্রকাশক হিসেবেই নিজেকে উদ্যেক্তা হিসেবে তৈরি করেছেন। এখন সৃজনশীল লেখকদের লেখা নিয়ে বই প্রকাশ করেই সেই বইয়ের মাধ্যমে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন সমগ্র বাংলাদেশে। নয়ন আহামেদ। সদ্য ৩০ পেরুনো তরুন। বই প্রেমই তার জীবন বদলে দিয়েছে অন্যরকমভাবে। নয়ন আহমেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই বই নিয়ে কাজ করার প্রবল আগ্রহ ছিল, এমনকি দিনের বেশিরভাগ সময় কাটতো বই পড়ে, বইয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ লিখে সংরক্ষণ করার মাধ্যমে। পি ডি এফ বইয়ের বিভিন্ন অংশের স্ক্রিনশট এতো বেশি জমে গিয়েছিল যে, সংখ্যাটা প্রায় ১৫-২০ হাজারে গিয়ে দাঁড়ায়। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংএ পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি কোন চাকুরির চেষ্ঠাই করেননি। নিজ জেলা পাবনাতে ‘আলোকিত বই বিতান’ নামে একটা লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে দেশের সকল সৃষ্টিশীল লেখকদের প্রকাশিত বইয়ের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ ইসলামীক বইয়ের সমাবেশ ঘটনা নয়। এরপর এই লাইব্রেরীর মাধ্যমে তিনি অনলাইনেও বই বিক্রি-বিতরণ শুরু করেন। নয়ন আহামেদের সেবা ও সার্ভিসের কারনে সারাদেশ থেকেই তার কাছে বইয়ের চাহিদা আসতে থাকে। কয়েক বছর লাইব্রেরী ও বই বিপনন নিয়ে কাজ করার পর বই নিয়ে আরও বড় পরিসরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন নয়। সেই পরিকল্পনা থেকেই ২০২০ সালের শুরুর দিকে ঢাকার বাংলাবাজারে প্রতিষ্ঠা করেন নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। তার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘আলোকিত প্রকাশনী’। নয়ন আহমেদ বলেন, আলোকিত প্রকাশনীর মাধ্যমেই আমি সারা দেশে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে চাই। এই প্রকাশনী তেকে গত প্রায় দুই বছরে অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে অনেক অথেনটিক ইসলামিক বই রয়েছে। নয়ন আহামেদ বলেন, ‘আলোকিত প্রকাশনী’ দুইটা বিষয় মাথায় রেখে কাজ করছে- ১- বইয়ের কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু যেন মানুষের জন্য খুবই উপকারী হয়। মানুষের কাছে যেনো কোন ভুল ইনফরমেশন না যায়। মানুষের কাছে যে বার্তা যাবে তা যেন তাদের জন্য উপকারী হয়। ২- বইয়ের সৌন্দর্য যেন খুবই দৃষ্টিনন্দন হয়। বইয়ের বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সৌন্দর্যের ব্যাপারটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ের প্রচ্ছদ, বইয়ের বাইন্ডিং, বইয়ের কাগজের মান সুন্দর না হলে সেই বইয়ের প্রতি এমনিতেই পাঠকদের আকর্ষণ কমে যাবে, এতে করে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বইও পাঠকদের বাসা পর্যন্তই হয়ত পৌছে না, এই বিষয়টাকে মাথায় রেখেই তার প্রকাশনী বইয়ের সৌন্দর্যের দিকে আলাদা মনোযোগ দিয়েছে। নয়ন জানান, ২০২০ সালে ‘আলোকিত প্রকাশনী’ প্রতিষ্ঠার পর মাত্র এক বছর পার হতে না হতেই তার প্রকাশনী সারাদেশের মানুষের কাছে বেশ পরিচিতি পেয়েছে।