প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গাজীপুর আওয়ামী লীগে কেন বিরোধ থাকবে, কেন কোন্দল থাকবে? কেন নির্বাচনের দিন নৌকার বিরোধিতা থাকবে? এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। গাজীপুরের সঙ্গে এটা মানায় না। ময়েজ উদ্দিন, আহসান উল্লাহ মাস্টার, রহমত আলী আজ গাজীপুরে নেই। কিন্তু, গাজীপুরের মানুষ আছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাহেব আছেন। তিনি তার প্রজ্ঞা দিয়ে, অভিজ্ঞতা দিয়ে দীর্ঘদিন গাজীপুরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আপনাদেরকে শুধু বলব ঐক্যবদ্ধ থাকতে। অন্তর্কলহ বিরোধ মিটিয়ে ফেলুন।
তিনি বলেন, সম্মেলনে আমি দেখতে পাচ্ছি হাজারো মানুষ ঐক্যবদ্ধ এবং তারা দলে দলে এই সম্মেলনে এসেছে। আপনারা আজ এই সম্মেলন থেকে শপথ নিন ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ নিয়ে আগামী নির্বাচনে আমরা বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাব।
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি গাজীপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত অনেক ভোগান্তি হয়েছে। গাজীপুর থেকে ঢাকা যাতায়াতে দুই থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে। আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, বিআরটির কাজ ৭৫ ভাগ শেষ হয়ে গেছে। বিআরটির নিচের দিকে আর দুর্ভোগ হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা খুব কাছাকাছি এসে গেছি, কাজ সমাপ্তের পথে। আপনারা আধঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে গাজীপুর চলে আসবেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি বলেন, পদ্মা খরস্রোতা। ফেরি চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। আগে পদ্মা পার হতে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগতো। এখন ৬ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলে যাবেন। ৩০ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকার প্রকল্প এটি। শেখ হাসিনার সততার সোনালি সকাল এই পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের সামর্থ্যের স্মারক এই পদ্মা সেতু।
‘পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করাই ছিল এক দুষ্কর ব্যাপার। একদিকে কাজ শুরু হয় সামনের দিকে এগিয়ে যেতে, আবার পেছন দিকে ভাঙে। শতভাগ সততার সঙ্গে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে এতে মানুষ খুশি হয়। আর তারা অপবাদ দিচ্ছে। দেশের মানুষ ভালো আছে শুনলে বিএনপির সবার মন খারাপ হয়ে যায়, বিশেষ করে বিএনপি নেতাদের। যারা অপবাদ দেয়, তাদেরকে বিশ্ব ব্যাংকের দিকে তাকাতে বলি। বিশ্ব ব্যাংক নিজেরাও স্বীকার করেছে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে তারা ভুল করেছে’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যাদের গত ১৩ বছরের ইতিহাস আন্দোলন, আর আন্দোলন দেখতে দেখতে ১৩ বছর। আন্দোলন হবে কোন বছর? আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপির এখন পদ্মা সেতু দেখে গাত্রদাহ হয়েছে। আজকে বিআরটি হয়ে যাচ্ছে, মেট্রোরেল হয়ে যাচ্ছে কর্ণফুলী টানেল হয়ে যাচ্ছে। সামনে ভোট, বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ বিরোধীদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আজকে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সারা দুনিয়ায় পড়েছে। সারা দুনিয়ায় জিনিসপত্রের দামের ওপর, ফুয়েলের ওপর, জ্বালানির ওপর প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়।’