পরীর পাহাড়ের নিরাপত্তা বিধানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে আইনজীবী সমিতি কর্তৃক বাধার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২ টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যামেরাগুলো মেরামত এবং পুরাতন জরাজীর্ণ ক্যাবলগুলো পরিবর্তনের কাজ করার সময় ঠিকাদার কোম্পানিকে ৫-৭ জন আইনজীবী বাধা দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পরীর পাহাড়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এবং আদালত প্রাঙ্গনে প্রতিদিন অসংখ্য সেবাপ্রার্থী এবং বিচারপ্রার্থীদের যাতায়ত। পাশাপাশি এই পরীর পাহাড়ে সেবাপ্রার্থীদের ভিড়ে চোর, বাটপার, ছিনতাইকারী, দালালদের রয়েছে নিত্য আনাগোনা। পরীর পাহাড়ে সরকারী স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সেবাপ্রার্থীদের সেবাপ্রদান সুষ্ঠু এবং নিরাপদ করার জন্য ১৪৮ টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু এতেও থেমে নেই দুষ্কৃতিকারীরা, কয়েকটি ক্যামেরা তারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এছাড়া এখানে মাঝে মধ্যেই সেবাপ্রার্থীদের টাকা চুরি বা মোবাইল ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যায়। সর্বশেষ গত ১৭ আগস্ট সংবাদ সংগ্রহের সময় হামলার শিকার হন একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দুই সংবাদকর্মী। এসময় তাদের মারধর করে আইনজীবীরা যা জেলা প্রশাসনের সিসিটিভি সিস্টেমের ফুটেজে ধরা পড়ে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে পরীর পাহাড় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো নিশ্চিদ্র করার স্বার্থে শনিবার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যামেরাগুলো মেরামত এবং পুরাতন জরাজীর্ণ ক্যাবলগুলো পরিবর্তনের কাজ করছিল স্থানীয় একটি ঠিকাদার কোম্পানি। এতে বাধা দেয় ৫-৭ জন আইনজীবী।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের আইসিটি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, পরীর পাহাড়ের নিরাপত্তা বিধানে সিসিটিভি ক্যামেরা মেরামত ও স্থাপন করতে গেলে ঠিকাদার কোম্পানিকে ৫-৭ জন আইনজীবী বাধা দেয়। পরবর্তীতে প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সেখানে অবশ্যই সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করবো।