চাঁদাবাজির মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবুসহ ছয়জনের অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ নারগিস আক্তারের আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তসলিম উদ্দীন।
মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- এটিএম মঞ্জুরুল ইসলাম রতন, আবু নাছের চৌধুরী আজাদ, একেএম নাজমুল আহসান, মো. ইমরান হোসেন জিয়া ও মো. ইদ্রিস মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে নগরের পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ জায়গা কিনেন কুয়েত প্রবাসী বন্ধন নাথ। পরে ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ডিজাইন সোর্স টিম লিমিটেড নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে ভবন তৈরির দায়িত্ব দেন তিনি। পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টরসহ বন্ধন নাথ ওই জায়গায় যান। ওই সময় একেএম নাজমুল আহসান, দেবাশীষ নাথ দেবু, এটিএম মঞ্জুরুল ইসলাম রতন, আবু নাছের চৌধুরী, ইদ্রিস মিয়া ও জিয়া মিলে বন্ধন নাথকে আটকে রেখে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে।
এতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বন্ধনকে মারধর করে। একপর্যায়ে পিঠের ডান পাশে গুলি করে। এ সময় বন্ধন নাথ ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে তিনটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে সই নেওয়া হয়। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আসামিদের চাঁদার টাকা পরিশোধের জন্য পাঁচটি চেক দেওয়া হয়। পরবর্তীসময়ে বন্ধন নাথ সুস্থ হয়ে আবার কুয়েত চলে যান। কুয়েতে গিয়ে চেকের মাধ্যমে আসামিদের ৭০ লাখ টাকা দেন তিনি। পরে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ওই জায়গা কাজ শুরু করতে গেলে বাকি ৩০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেয় এবং কাজে বাধা দেয় তারা। এ ঘটনার পর ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচলাইশ থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ ওই দিন দেবাশীষ নাথ দেবু এবং এটিএম মঞ্জুরুল ইসলাম রতনকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সব আসামি জামিনে আছেন।
তসলিম উদ্দীন বলেন, চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা মামলায় দেবাশীষ নাথ দেবুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। এখনো সাক্ষীর সময় আদালত থেকে জানানো হয়নি। হয়তো সোমবার জানানো হবে। সব সবাই জামিনে রয়েছেন।