শেরপুরঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নিয়মবহির্ভূতভাবে নেয়া বিদ্যুৎ সংযোগ ২০ দিনেও বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।
জানা গেছে ওই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে জাহান আলী ২০২০ সালের ২ জানুয়ারী ২.১১নং ক্রমিকে ৩ ইঞ্চি ডেলিভারি ব্যাসের ৭.৫ অশ্ব শক্তির অগভীর নলকূপ স্থাপনও বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা সেচ কমিটির অনুমতি প্রদান করা হয়।
অপর দিকে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারী ৩৫ নং ক্রমিকে একই গ্রামের মৃত মছলে উদ্দিনের ছেলে মুসলিম উদ্দিন ৩ ইঞ্চি ডেলিভারী ব্যাসের ৭.৫ অশ্ব শক্তির অগভীর নলকূপ স্থাপন ও বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা সেচ কমিটি অনুমোদন দেন।
কিন্ত জাহান আলী উপজেলা সেচ কমিটির ছাড়পত্রে লাইসেন্সের শর্তাবলী ভঙ্গ করে নলকূপ স্থাপন করেন। যা সেচ নীতিমালার ৩ নং অনুচ্ছেদের অনুমোদিত ও স্থাপিত নলকূপ হতে ৪০০ ফুটের কম দূরত্বে অবস্থিত। যা বিষয়টি সেচ নীতিমালার সম্পূর্ণ বহির্ভূত।
এমতাবস্থায় উপজেলা সেচ কমিটির অনুমোদন ভঙ্গকারী ও সেচ নীতিমালা বহির্ভূত স্থাপিত নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেন উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ। গত ৪ আগষ্ট শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেলারেল ম্যানেজারকে এ নির্দেশ দেন। কিন্তু গত ২০ দিনেও উক্ত অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।
শেরপুরের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ আলী হোসেন বলেন উক্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । জরুরি ভিত্তিতে তা বিচ্ছিন্ন করা হবে।