ইউক্রেনকে আরও সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্বাধীনতা দিবসে তৃতীয়বারের মতো কিয়েভ সফর করেন বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ সময় ইউক্রেনকে আরও ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারের সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে প্রায় তিনশো কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

- Advertisement -

স্বাধীনতা দিবসের দিন ইউক্রেন সফর করেন যুক্তরাজ্যের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর, এটি তার তৃতীয় সফর। ইউক্রেনকে আরও ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারের সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউক্রেনের প্রতি তার দেশের সমর্থন প্রদর্শনের জন্য এক অঘোষিত সফরে কিয়েভে হাজির হয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে প্রায় তিনশো কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবেই থাকবে ইউক্রেন।

এই অর্থ দিয়ে ইউক্রেনের সৈন্যদের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র কিনতে ব্যবহার করা হবে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে প্রায় এক হাজার কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেনের জন্য সমর্থনের বার্তা এসেছে সারা বিশ্ব থেকে। অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড, তুরস্ক এবং আরও অনেক দেশ সমর্থন জানিয়েছে৷

এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের ছয় মাস পূর্তিতে পুরো বিশ্বকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের ৩১তম স্বাধীনতা দিবসে কিয়েভের স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা। স্মৃতিসৌধটি ২০১৪ সালে দনবাসে নিহত সেনাদের সম্মানে তৈরি হয়।

দেশের জন্য অবদান রাখা সেনাদের হাতে মেডেল তুলে দেন জেলেনস্কি। এর আগে, জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ছয় মাস ধরে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিরোধ করছি। খুব কঠিন হলেও আমরা পেছাবো না। সমঝোতা করবো না। আগে শান্তির কথা বলছিলাম, কিন্তু এখন আমাদের লক্ষ্য ইউক্রেনের বিজয়।

পরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে পুরো বিশ্বকে এক হওয়ার আহ্বান জানান জেলেনস্কি।

জেলেনস্কি বলেন, এমন কোনো যুদ্ধাপরাধ নেই, যা রাশিয়া ইউক্রেনে করেনি। এখনই রাশিয়াকে না থামালে, যুদ্ধাপরাধ আরও বাড়বে। ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা-সব জায়গায় রুশ যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্ন রয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে এক হতে হবে।

এদিকে, ইউক্রনের স্বাধীনতা দিবসে হামলার শঙ্কা করা হলেও মস্কোর দাবি, সামরিক অভিযানের গতি ধীর করা হয়েছে। ইউক্রেনে বেসামরিক লোকের হতাহতের সংখ্যা কমাতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানান উজবেকিস্তান সফররত রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।

বুধবার দোনেৎস্কে শেল হামলায় শপিংমলে আগুন ধরে যায়। যদিও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, শেল ছোড়া হয়েছে ইউক্রেন থেকে।

সর্বশেষ