মো.মোক্তার হোসেন বাবু: চট্টগ্রাম মহানগরে সবজির বাজারে গিয়ে ক্রেতারা অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন। বৃষ্টির অজুহাতে সবজির দামের লাগাম টানা যাচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। তারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে সরবরাহ সংকট। বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। আগের কয়েক সপ্তাহ হিসেব করলে সবজির দামে কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা বেড়েছে।নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার ও কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজারের গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের বেশিরভাগ সবজি আসে উত্তরবঙ্গ থেকে। সেখানে টানা বৃষ্টির কারণে ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। আবার চট্টগ্রামেও বৃষ্টির কারণে পরিবহন নিয়ে সংকট হচ্ছে। এতে সরবরাহ মাসখানেক ধরেই কম। যে সবজি এখন বাজারে আসছে, সেগুলো বাড়তি দামে কিনেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
নগরীর কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজারে কথা হয় চাকুরীজিবি ইলিয়াস মোল্লার সাথে। নিত্যপণ্যের দর নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে এলে মন খারাপ হয়ে যায়। সবকিছুর দাম বাড়তি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে বরবটির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা, দামও ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁকরোল, ঝিঙা, পটল, ঢেঁড়শ, শসা, করলা প্রতিকেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কচুরমুখী, লাউ, মুলা কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। গাজর ১৬০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, শালগম ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধুমাত্র মিষ্টিকুমড়ার দাম আছে নাগালের মধ্যে, প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। মুন্সীগঞ্জের আলু ২৫ টাকা, বগুড়ার লাল আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সাপ্তাহে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। এ সপ্তাহে সেটা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনেপাতার দামও ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। তবে আগের মতোই শাকের মধ্যে কচুশাক ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া শাক ৫০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা ও লালশাক ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।