রাজনৈতিক সমঝোতা হলে সব আসনে ব্যালটে ভোট

ব্যালট বা ইভিএম কোনো সংকট নয়, মূল সংকট রাজনৈতিক। রাজনৈতিক সমঝোতা হলে প্রয়োজনে সব আসনে ব্যালটে ভোট হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ইভিএমে ডিজিটাল কারচুপির সুযোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি। ইভিএম ব্যবহারের আপত্তি

- Advertisement -

মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে ৩৯ জন বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় সিইসি এসব কথা বলেন। গতকাল দেওয়া ওই বিবৃতিতে তারা দাবি করেন, ইভিএম ব্যবহার করে ডিজিটাল জালিয়াতিও করা যায়। তারা সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির নেওয়া সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক হিসেবে আখ্যা দেন।

এ বিষয়ে বুধবার নিজ দপ্তরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট জালিয়াতির কেউ প্রমাণ দিতে পারেনি। আমরা বরং রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে যে সংকটগুলো দেখছি, সে সংকট ইভিএম নিয়ে নয়, আরও মোটাদাগের সংকট’।

‘আমরা আশা করি, দোয়া করি, এ সংকটগুলো কেটে যাক। কেটে গিয়ে যদি রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে ফয়সালা হহলে প্রয়োজনে সব আসনে ব্যালটে ভোট হবে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

সিইসি এসময় আরো বলেন, ইভিএমে ভোট হলে কোন রাজনৈতিক সংকট হবে না। কারচুপি ও সহিংসতা কমে যাবে। আর ইভিএম নিয়ে যদি কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়, তা মোকাবিলার ব্যবস্থা নিতে হবে।

বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে নতুন ইভিএম কেনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ৩৯ নাগরিক। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, আর্থিক সংকটের বিষয়টি কমিশন নয়, বিবেচনা করবে সরকার।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, কমিশন কেবল সুষ্ঠু নির্বাচনকেই বিবেচনা করছে। নির্বাচনটা সঠিক, অবাধ, নির্বিঘ্ন হলো কি না, সেটা। ইভিএমে হোক বা ব্যালটে হোক, সেটা হওয়া বড় কথা।

উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট এক বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ভোটে এই যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এর আগে ইসির সংলাপে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ইভিএম নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ প্রকাশ করেছিল

সর্বশেষ