পাকিস্তানে বন্যার পানি ঠেকাতে অস্থায়ী বাঁধ, মৃত্যু বেড়ে ১৩৫৫

কয়েক সপ্তাহ টানা বৃষ্টির পর দেশের এক তৃতীয়াংশ ডুবে থাকা বন্যার পানির লোকালয়ে প্রবেশ ঠেকাতে পাকিস্তানের বেশকিছু এলাকার বাসিন্দারা অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণে নেমে পড়েছেন।

- Advertisement -

বন্যা দেশটির আরও ১২ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়ায় নজিরবিহীন এ দুর্যোগে মৃতের সংখ্যাও বেড়ে এক হাজার ৩৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

লাখো মানুষকে বাস্তুচ্যুত এবং আনুমানিক এক হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি করা পাকিস্তানের এবারের এ ভয়াবহ বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায় দেওয়া হচ্ছে। দেশটির ২২ কোটি বাসিন্দার অন্তত সোয়া তিন কোটিকেই এবারের এ বন্যা চরম বিপাকে ফেলেছে।

বন্যার পানি ঢুকে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধুর ভান সৈয়দাবাদ শহরের বেড়িবাঁধটি মজবুত করতে স্থানীয়রা কাজ করে যাচ্ছেন।

তার কিছুটা দূরেই অবস্থিত পাকিস্তানের সর্ববৃহৎ সুপেয় পানির হ্রদ মানচার; এর পানি উপচে আশপাশের বিস্তৃর্ণ এলাকা ভাসিয়ে নেওয়ার আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে।

বন্যায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় যে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, তাদের ৭টিই শিশু। এ নিয়ে এবারের দুর্যোগে সরকারি হিসাবেই শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ৪৮১ তে পৌঁছাল।

রেকর্ড বর্ষণ আর উত্তরের পাহাড়গুলোর হিমবাহ গলে বিপুল পরিমাণ পানি আসায় এবারের এ নজিরবিহীন বন্যা দেখা দিয়েছে।

কেবল জুলাই আর অগাস্টেই পাকিস্তানে ৩৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

বন্যাক্রান্ত এলাকাগুলোর ৬৪ লাখেরও বেশি মানুষের এখনই মানবিক সহায়তা দরকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ; পাকিস্তানের জন্য ১৬ কোটি ডলার সাহায্যও চেয়েছে তারা।

বন্যা দুর্গতদের জন্য সরকার নগদ ৭ হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়েছে এবং উদ্বাস্তু পরিবারগুলোর জন্য ২ লাখ তাঁবু কিনতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ এশীয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ