আগামী তিন মাসে পোশাক রপ্তানি আরও কমবে বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ অর্ডার কমেছে। ফলে সামনের দিকে পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বরে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।’ সেজন্য মালিকদের পোশাকের দাম না কমানোর আহ্বান জানান তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘শিল্পখাত থেকে রপ্তানি হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ অর্থবছরের প্রথম দুইমাসে, জুলাই-আগস্টে প্রবৃদ্ধি ভালো ছিল। কিন্তু দু’মাসে আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি ক্রয়াদেশ ক্রমশ কমছে। আমাদের অন্যতম রপ্তানিবাজার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি ও মন্দার কারণে আগামী মৌসুমের জন্য কার্যাদেশ প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘খুচরা বিক্রেতারা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিশ্ববাজারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সংগ্রাম করছে। অনেক ব্র্যান্ডের খুচরা বিক্রি কমেছে, যা তাদের আনসোল্ড স্টক বাড়িয়েছে। এসব বিবেচনায় আগামী মাসগুলোতে আমাদের রফতানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হতে পারে।’
ফারুক হাসান বলেন,‘আমাদের ৮২ শতাংশ পণ্যই ৫টি আইটেমের। আমরা এখনও ৭৪ শতাংশ কটন বেইজড পণ্য রপ্তানি করি। কিন্তু বহির্বিশ্বে নন কটনের বাজার অনেক বড়। আমরা এখন নন-কটনের বাজার ধরার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশ এখন আর চিপ লেবারের (সস্তা শ্রমিক) মার্কেট নয়, বাংলাদেশ এখন কমপিটিটিভ (প্রতিযোগিতামূলক) লেবারের মার্কেট। আমাদের মার্কেট কপ্লায়েন্স মার্কেট। এগুলো ভাবমূর্তির বিষয়।’
দেশের পোশাক খাতকে বহির্বিশ্বেরসামনে তুলে ধরতে আগামী ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’। অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে জানাতেই ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিজিএমইএ।
পুরো অনুষ্ঠানের আয়-ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমরা স্টলের ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছি। সেখান থেকে কিছু আয় হবে। বায়ার যারা আসবেন, তাদেরকেও এন্ট্রি ফি দিতে হবে। সেখান থেকেও কিছু আয় হবে। আর বিজিএমইএ কিছু খরচ করবে। আমাদের অনেক বেনিফিশিয়ারি আছেন, তারাও অনেকে স্পন্সরশিপ করতে পারেন।’