স্থানীয় ও র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট চট্টগ্রামের অন্তর্ভুক্ত সাগর এলাকায় ৯টি মাছ ধরার বোটে ডাকাতি সংঘটিত হলে র্যাব-৭ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে জলদস্যু বহনকারী ১টি বোট কর্তৃক সাগরে বিভিন্ন বোটে ডাকাতি করা হচ্ছে। তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ, পিএসসির নেতৃত্বে ২টি চৌকষ আভিযানিক দল ও র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার একটি আভিযানিক দলের সমন্বয়ে গভীর সমুদ্রে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ২টা থেকে ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বমোট দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান পরিচালনা করে করে দস্যুতার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ১২ জন জলদস্যুকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটক হয়েছেনঃ মো. আনোয়ার, লিয়াকত (মাঝি, মো. মনির, আবুল খায়ের (ইঞ্জিন ড্রাইভার), মো. নবীর হোসেন, নেজামউদ্দিন, হুমায়ুন, সাহেদ, সাদ্দাম, আতিক, এমরান ও আমানউল্লাহ।
পরবর্তীতে আটককৃত জলদস্যুদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা সমুদ্রে বিভিন্ন বোটে ডাকাতি করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয় এবং তাদের হেফাজত থেকে ১টি বোট, আনুমানিক ৩ হাজার পিস ইলিশ মাছ, মাছ ধরার বড় জাল, ৩টি ওয়ান শুটারগান, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১৬টি দা ও ছুরি, ১টি বাইনোকুলার, ৪টি টর্চ লাইট, ২টি চার্জ লাইট, ২টি হ্যান্ড মাইক, ৭০ টি মোবাইল, নগদ ৫,৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এসময় গ্রেপ্তারকৃতরা জানা যায়, পূর্বে তারা বোট নিয়ে সাগরে গিয়ে অল্প পরিমাণ মাছ পায় ফলে বোটের মালিক আনছার মেম্বার বোটের সদস্যদের কোন টাকা-পয়সা না দিয়ে তাদের আদেশ দেয়, মাছ ধরতে না পারলে ডাকাতি করে মাছ নিয়ে আসতে হবে। আনছার মেম্বার ও তার দলের মূল্য উদ্দেশ্য ছিল অল্প পরিশ্রমে অধিক মুনাফা লাভ করা। এর জন্যই নিজের সন্তানকে ডাকাত সর্দার বানিয়ে বোট ডাকাতি করার জন্য সাগরে পাঠান।
এছাড়াও আটক আসামিদের নিজদের স্বীকারোক্তি মতে, তারা আগের ৯টি এবং বর্তমানে ৭টিসহ সর্বমোট ১৬টি বোট ডাকাতি করেছে বলে জানায়। আসামি আনোয়ার (আনছার মেম্বারের ছেলে, মূলহোতা) এর নামে ৩ টিসহ প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধেই চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় জলদস্যূতা, সস্ত্রাসী, ডাকাতি, দুর্ধষ চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা এবং অপহরণ সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে।