পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মিন্টুর বিরুদ্ধে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও এর ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নগ্রাফি আইনে জেলার বোদা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
এদিকে, মামলার পর সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মনোয়ার হোসেন মিন্টুর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় বোদা উপজেলার ওই তরুণীর। বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক মিন্টু অবিবাহিত বলে পরিচয় দিয়ে সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে পঞ্চগড় ও ঢাকায় একাধিকবার ধর্ষণ করে। স্থানীয় পর্যায়ে লেখাপড়া শেষ করে ওই তরুণী ঢাকার দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভর্তি হন। মিন্টু গত ২৫ জুন ঢাকায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে। কাজি অফিসে বিয়ের কথা বলে ঢাকার একটি অপরিচিত বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ভয় দেখিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। যার ভিডিও গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করে। ভুক্তভোগী বিয়ের জন্য চাপ দিলে মিন্টু কালক্ষেপণ করতে থাকে।
বিষয়টি ওই তরুণী তার পরিবারকে জানায়। পারিবারিকভাবে মিন্টুকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলে সে উল্টো ধারণ করা ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। উপায়ন্তর না পেয়ে শনিবার রাতে ওই তরুণী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নগ্রাফি আইনে বোদা থানায় মামলা করেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ মিঠু জানান, সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় চিলাহাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মিন্টুকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করলে দেবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের কোনও নেতাকর্মীকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
বোদা থানার ওসি সুজয় কুমার রায় জানান, পুলিশ মামলার তদন্ত করছে। আসামি মনোয়ার হোসেন মিন্টুকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।