রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশ আগামীকাল। এদিকে হঠাৎ আজ সকাল ৬টা থেকে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি।
মোটর মালিক সমিতির ডাকা এ ধর্মঘটের কারণে শুক্রবার সকাল থেকে জেলার সব পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
অসুস্থতার কারণে গোবিন্দগঞ্জ থেকে রংপুরে ডাক্তার দেখাতে যাবেন বাছিরন বেগম (৫৬)। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তিনি একঘণ্টা যাবত ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ থানামোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আরেক রোগী নুরুল ইসলাম (৬০)। তিনিও সকাল ১০টায় থানামোড়ে এসেছেন রংপুরে যাওয়ার জন্য। শুধু রোগীই নয়। অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াতে দূরপাল্লার বাস না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলা ছুঁয়ে যেতে হয় উত্তরের আট জেলায়। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের থানামোড়ে সকাল থেকেই উত্তরের পরিবহনের চাপে যানজট লেগেই থাকে। কিন্তু আজ প্রতিদিনের থেকে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। সকালেই পরিবহন ছিল অনেক কম। রাস্তা ছিল অনেকটা ফাঁকা। ছোট ছোট যানবাহনের দখলে ছিল ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক।
এদিকে বিএনপি বলছে, এই ধর্মঘট আসলে বিএনপির গণসমাবেশ ঠেকানোর ধর্মঘট। যারা ধর্মঘট ডেকেছে তারা সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে। তবে সরকার যত ফন্দি আটুক না কেন ? সমাবেশ তারা ঠেকাতে পারবে না। এর আগেও চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার সমাবেশেও এভাবে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। কিন্তু শত বাধা পেরিয়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে অংশ নিয়েছে। এরই মধ্যে নেতা-কর্মীরা তাদের এই ছক বুঝতে পেরে আগে থেকেই সমাবেশে যেতে শুরু করেছে।
রংপুর জেলা মালিক সমিতি জানায়, মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট। অন্য কোন উদ্দেশ্য আমাদের নেই।
ধর্মঘটের ব্যাপারে জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ধর্মঘট সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের কোন চিঠিপত্র দিয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় পরিবহন খুব কম। হাইওয়ে পুলিশ সার্বক্ষণিক টহলে আছে। রাস্তায় কোন নাশকতার চেষ্টা হলে তা প্রতিহত করবে পুলিশ।