spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

নৌঘাঁটি বানৌজা শেরেবাংলার কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী

spot_img

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌবাহিনীর নবীন নাবিকদের প্রশিক্ষণ ও অ্যাভিয়েশন সুবিধাসংবলিত ঘাঁটি বানৌজা শেরেবাংলার কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত চারটি পেট্রল ক্রাফট ও চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটিরও (এলসিইউ) কমিশনিং করেন তিনি।

- Advertisement -

বুধবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কমিশনিং করেন। পরে নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল ঘাঁটির অধিনায়ক কমোডর এম মহব্বত আলীর হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন। এর পর বাহিনীর রীতি অনুযায়ী নামফলক উন্মোচন করা হয়।

একই সঙ্গে নৌবাহিনীর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে খুলনা শিপইয়ার্ডে পেট্রল ক্রাফট স্কোয়াড্রনের চারটি যুদ্ধজাহাজ বানৌজা শহিদ দৌলত, শহিদ ফরিদ, শহিদ মহিবুল্লাহ ও শহিদ আখতার উদ্দিন এবং চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ) বানৌজা ডলফিন, তিমি, টুনা ও পেঙ্গুইনের কমিশনিং করা হবে।

নৌবাহিনীর মিডিয়া উইং জানায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পায়রাবন্দরসহ উপকূলীয় এলাকার সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় এই ঘাঁটি নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াবে। পাশাপাশি নৌ সদস্যদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায়, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার দেশি ও বিদেশি ব্যবসাবাণিজ্য নিরাপত্তায় একটি বিশেষায়িত ও স্থায়ী ঘাঁটির গুরুত্ব বিবেচনায় ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নে এই ঘাঁটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর ‘বানৌজা শেরেবাংলা’ ঘাঁটির নামফলক উন্মোচিত হয়। আধুনিক সব সুবিধায় ‘বানৌজা শেরেবাংলা’ ঘাঁটিতে গড়ে তোলা হয়েছে নবীন নাবিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র। এর পাশাপাশি অপারেশনাল কার্যক্রমের সুবিধার্থে প্রশাসনিক ভবন, অ্যাভিয়েশন সাপোর্ট ও হ্যাঙ্গার সুবিধা মাল্টিপারপাস শেড, বিভিন্ন রিপেয়ার ও মেইন্টেন্যাস ওয়ার্কশপ রয়েছে। এ ছাড়া ঘাঁটিতে অ্যাভিয়েশন সুবিধা, ডাইভিং স্যালভেজের কমান্ডো পরিচালনাসংবলিত ইউনিট, নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল রয়েছে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ