নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে আটক করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে চাঁদাবাজচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো আনিসুল ইসলাম আহাদ (২২), মাহমুদা হক প্রঃ মুমু (২০) ও ওসমান খালেক সাইহান (২২)।
জানা গেছে, বাদী ভিকটিমের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে মাহমুদা নামের একজন মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। এর পর থেকে মাহমুদার সাথে বাদী ভিকটিমের কথাবার্তা হয়। কয়েকদিন কথা বলার পর মাহমুদা বাদীকে তার সাথে দেখা করতে বলে। গত ১৭ মার্চ রাত আটটায় মাহমুদার সাথে ডবলমুরিং মডেল থানাধীন আগ্রাবাদ সিডিএ ৬নং রোডের শেষ মাথায় নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের সামনে দেখা করতে গেলে আসামী মাহমুদা বাদীকে উক্ত নির্মাণাধীন ভবনের ৩য় তলায় নিয়ে যায়। তথায় পৌঁছানোর ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে অজ্ঞাতনামা ৪ জন আসামী এসে উপস্থিত হয়। উক্ত আসামীরা বাদীকে এলোপাথারি কিল, ঘুষি মারতে থাকে এবং আসামীরা ধারালো ছোরার ভয় দেখিয়ে বাদীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে অজ্ঞাতানামা আসামীরা বাদীর পকেটে থাকা নগদ ৬ হাজার টাকা এবং বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নেয়। এ সময় আসামীরা বাদীর নিকট ২ লক্ষ টাকা দাবী করে, অন্যথায় বাদীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বাদী প্রানভয়ে বাদীর মোবাইল নম্বর হতে নিকটতম কয়েকজন বন্ধুকে ফোন দিয়ে টাকা চাইলে বাদীর এক বন্ধু ২০ হাজার টাকা এবং বাদীর অফিস কলিগ বাদীর বিকাশে ১০ হাজার টাকা প্রেরণ করে। তখন আসামীদের মধ্য থেকে ২ জন বাদীর বিকাশের পিন নাম্বার নিয়ে নিচে নেমে বাদীর বিকাশ একাউন্ট হতে পর্যায়েক্রমে ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করে। পরবর্তীতে আসামীরা বাদীকে প্রাণে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে নিচে নামিয়ে দিয়ে চলে যেতে বলে।
পরে বাদীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ডবলমুরিং মডেল থানায় মামলা হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় বাদীর সনাক্ত মতে অত্র মামলার আসামী ওসমান খালেক সাইহান (২২)কে ডবলমুরিং মডেল থানাধীন আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকের ৬নং রোডের মাথা হতে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্য মতে ঘটনার প্রধান আসামী আনিসুল ইসলাম আহাদকে গ্রেফতার করে। আসামী আনিসুল ইসলাম আহাদ এর দেয়া তথ্য মতে এবং বাদীর সনাক্ত মতে আসামী মাহমুদা হক প্রঃ মুমু (২০)কে খুলশী থানাধীন দক্ষিণ জালাবাদস্থ গার্ডেন ভিউ আবাসিক এলাকার বর্তমান বাসা হতে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ জানায়, মামলার আসামীরা সমাজের ভিত্তবান ব্যক্তিদের টার্গেট করে। মামলার প্রধান আসামী আনিসুল ইসলাম আহাদ (২২) এর স্ত্রী মাহমুদা হক প্রঃ মুমু (২০)কে দিয়ে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আটক রেখে ধারালো ছোরার ভয় দেখিয়ে, মারধর করে চাঁদা আদায় করে।