জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ডাকা নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির চলছে। এর মধ্যে নৌপরিবহন অধিদপ্তর থেকে বৈঠকের আহ্বান পেলেও তাতে যোগ দিবেন কিনা সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
তাদের মতে, বৈঠক নয়; দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজেও নামতে রাজি নন। তবু বৈঠকের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের অফিস সচিব মো. আতিকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘চাঁদপুরের হরিনাঘাটের কাছে মাঝেরচর এলাকায় জাহাজে সাত খুনের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের বিচারসহ আরও কিছু দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে সারাদেশে একযোগে নৌশ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে।’
এ নিয়ে সংগঠনটির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত শ্রমিকদের কাজে নামানো সম্ভব হবে না। আমরা তো দাবিগুলো বলেছি। বর্তমানে মাল, তৈল-গ্যাস, কয়লা ও বালুসহ সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযান চলাচল এবং পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।’সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠকের আহ্বান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রোববার মিটিংয়ের জন্য আামাদের ডেকেছেন। মিটিং না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছেন। সেটা সম্ভব নয়। তবু কর্মবিরতি নিয়ে আমরা ভাবছি। দুপুর দুইটার পর আমরা শ্রমিকরা বসবো। আমাদের মিটিং নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে, তখন সেটা জানাতে পারবো।
প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৭টি ঘাটে ৭৩৮টি জাহাজে ১০ লাখ ১১ হাজার ২৩৫ টন আমদানি পণ্য বোঝাই অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউটিসিসি)।