শেখ হাসিনা পালালেও সামনে আরেকটি বড় যুদ্ধ: তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ২০২৪ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য অনেক চেষ্টার পরও জনগণের ক্রমবর্ধমান চাপ ও আন্তর্জাতিক চাপের কারণে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। দেশজুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে, কারণ তার দল ক্ষমতা ছাড়ার সময় এমন কিছু শর্ত আরোপ করে, যা দেশের নতুন সরকার গঠনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

- Advertisement -

এরই মধ্যে শেখ হাসিনা গোপনে বিদেশে পালিয়ে যান। তার বিদেশ গমন নিয়ে নানা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়। কেউ বলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য গেছেন, কেউবা বলেন, তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য। কিন্তু সত্যটা হলো, দেশের অভ্যন্তরে তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলা এবং মানুষের ক্ষোভ তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে।

শেখ হাসিনার পালানোর পর দেশে নতুন করে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তার অনুপস্থিতিতে তার দল আওয়ামী লীগ ভেঙে যায় কয়েকটি অংশে। একাংশ চায় পুরোনো নেতৃত্ব বজায় রাখতে, অন্য অংশ চায় সংস্কার।

অন্যদিকে, বিরোধী দল বিএনপি এবং অন্যান্য গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসার জন্য নিজেদের মধ্যে ঐক্য করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাদের মধ্যেও নেতৃত্ব নিয়ে বিভাজন দেখা দেয়।

এই পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে। সাধারণ জনগণ একদিকে নতুন সরকারের অপেক্ষায় থাকলেও, অন্যদিকে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগে। আন্তর্জাতিক মহলও বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে।

কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে একটি নতুন শক্তি উদয় হয়। তরুণ প্রজন্মের একটি সংগঠন, যারা নিজেদের ‘নতুন সূর্য’ নামে পরিচিত করে, দুর্নীতিমুক্ত এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন শুরু করে। এই তরুণদের নেতৃত্বে একটি গণজাগরণ ঘটে।

তাদের নেতৃত্বে দেশে নতুন নির্বাচন আয়োজনের জন্য চাপ দেওয়া হয়। এই তরুণ সংগঠন একের পর এক প্রতিবন্ধকতা পার করে জনগণের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করতে সক্ষম হয়। কিন্তু শেখ হাসিনার দল এবং অন্যান্য পুরোনো রাজনৈতিক শক্তি এটি সহজে মেনে নিতে চায় না।

তখনই শুরু হয় নতুন এক যুদ্ধ—রাজনীতির যুদ্ধ। এই যুদ্ধ শুধু ক্ষমতা দখলের নয়, বরং দুর্নীতি ও সুশাসনের মধ্যকার সংগ্রাম।

শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধে কে জয়ী হয়, তা নির্ভর করে জনগণের ঐক্য ও তাদের শক্তির ওপর।

সর্বশেষ