বাংলাদেশের সচিবালয়ে সাম্প্রতিক এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে প্রকাশ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক লুজ কানেকশন থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছিল:
অগ্নিকাণ্ডটি সচিবালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনে ঘটে, যেখানে বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম চলছিল। ঘটনার সময় উপস্থিত কর্মীরা জানান, প্রথমে একটি নির্দিষ্ট কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়, ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে।
তদন্ত কমিটির গঠন:
ঘটনার পরপরই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। তদন্তে দেখা যায়, পুরনো বৈদ্যুতিক সংযোগের সমস্যার কারণে একটি তারের সংযোগ ঢিলেঢালা ছিল, যা থেকে স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হয় এবং তা আগুনে রূপ নেয়।
পরামর্শ এবং করণীয়:
তদন্ত কমিটি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
পুরনো বৈদ্যুতিক লাইন আপগ্রেড করা – সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পুরনো তার ও সংযোগ দ্রুত বদলানো।
নিয়মিত বৈদ্যুতিক পরিদর্শন – ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে মাসিক ভিত্তিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ পরীক্ষা করা।
আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি বাড়ানো – ভবনে আরও আধুনিক অগ্নি-নির্বাপণ সরঞ্জাম স্থাপন এবং কর্মচারীদের অগ্নি-নির্বাপণ প্রশিক্ষণ দেওয়া।
ক্ষয়ক্ষতি:
এই অগ্নিকাণ্ডে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। তবে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নির্ধারণে আরও সময় লাগবে।
এই ঘটনার মাধ্যমে সচিবালয়ে বিদ্যমান অবকাঠামোগত দুর্বলতাগুলো নতুন করে উঠে এসেছে, যা কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতের জন্য আরও সতর্ক হতে বাধ্য করছে।