স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দৃঢ় অবস্থানের কারণে ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সীমান্তের শূন্য রেখায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারত যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছিল, বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের শক্ত অবস্থানের ফলে তা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট ৪,১৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ৩,২৭১ কিলোমিটার স্থানে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে।
সীমান্তে এ ধরনের বেআইনি নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধে বিজিবি সতর্কাবস্থায় রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম প্রতিহত করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ-ভারত যুগ্ম সীমান্ত নির্দেশাবলী-১৯৭৫ অনুযায়ী উভয় দেশের শূন্য লাইনের ১৫০ গজের মধ্যে প্রতিরক্ষা সামর্থ্যতা সম্বলিত যেকোন কাজ সম্পন্নের বিষয়ে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ ছাড়াও, উভয় দেশের প্রয়োজনে শূন্য লাইন হতে ১৫০ গজের মধ্যে যেকোন উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্নের ক্ষেত্রে একে-অপরের সম্মতি গ্রহণের বাধ্য-বাধকতা রয়েছে।
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যমান ৪১৫৬ কি. মি. সীমান্তের মধ্যে ৩২৭১ কি. মি. স্থানে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে এবং ৮৮৫ কি.মি. স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে আমাদের প্রচুর শক্তি রয়েছে। বিজিবির সঙ্গে জনগণও কঠোরভাবে প্রতিহত করছে। কোনো বিরূপ ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনকে বিষয়টি জানানো হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বিপিএম ও বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।