spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

উত্তরায় হামলার শিকার সেই ‘দম্পতি’ স্বামী-স্ত্রী নন

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img

রাজধানীর উত্তরায় এক দম্পতির ওপর দুজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তারা বাঁচার জন্য চিৎকার করছেন। সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

- Advertisement -

পুলিশের তথ্যমতে, হামলার শিকার হওয়া দুজন স্বামী-স্ত্রী। বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এর প্রতিবাদ করেন স্বামী-স্ত্রী। তখন তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন ধাক্কা দেওয়া মোটরসাইকেলটির দুই আরোহী।
এদিকে হামলার শিকার ওই পুরুষ ও নারী স্বামী-স্ত্রী নন বলে দাবি করেছেন অপর এক নারী। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, উত্তরাতে হামলার শিকার ওই ব্যক্তি আমার স্বামী। পাশে থাকা ওই নারীকে আমি চিনি না। তবে কিছুদিন ধরে বুঝেছি আমার স্বামী অন্য কারও সাথে কথা বলেন।
কারা হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই নারী জানান, কারা হামলা করেছে সেটা আমি জানি না। যেহেতু ওখানে আমি ছিলাম না, সেহেতু ওই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমার স্বামীর সাথে কারও বিরোধের কথাও জানি না। কারণ উনি (স্বামী) আমার কাছে কোনো কিছুই শেয়ার করতেন না।

ওই নারীর সাথে আপনার স্বামীর বিয়ে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, ওই নারীর সাথে কোনো বিয়ের ঘটনা ঘটেনি। আমার স্বামী গোপনে ওই নারীর সাথে যোগাযোগ করতেন। তবে ওই ঘটনার পর থেকে তারা নিজের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। ওই ঘটনা যখন আমি ফেসবুকে দেখেছি- সাথে সাথে তাকে কল দেই। কিন্তু তিনি কোনো রেসপন্স করেনি। পরে হাসাপাতালে গিয়ে তার সাথে আমার কথা হয়। উনি আমাকে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই নারী তার শ্বশুরের সঙ্গে লাউড স্পিকারে ফোনে কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, আমার শ্বশুর-স্বামী সবাই আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। আমার স্বামী আমাকে বলছে, সে সুস্থ হলে আমাকে দেখে নিবে।

এর আগে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দুই যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে এক ব্যক্তিকে রামদা দিয়ে আঘাত করছে। এ সময় নিজের জীবন বাজি রেখে স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে সামনে দাঁড়ান তার স্ত্রী। এ সময় ওই নারীকে হাত জোড় করে স্বামীর প্রাণভিক্ষা চাইতে দেখা যায়।

ওই দিন রাতেই ঘটনার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মোটরসাইকেলে উচ্চ শব্দ করে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা একটি শিশুকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পাশ দিয়ে আরেকটি মোটরসাইকেলে যাওয়া দম্পতি প্রতিবাদ করে। এরপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের লোকবল ডেকে দম্পতির ওপর রামদা দিয়ে হামলা চালায়।

এ সময় ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা দুজনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

তারা হলেন- মো. মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২২)। এর মধ্যে মোবারকের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায়। সে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় ভাড়া থাকে। আর রবি রায়ের বাড়ি টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন হাজির মাজার এলাকায়।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ