সমাজ সংস্কারে দেশের আলেম সমাজকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এ সরকারের অগ্রাধিকার। সন্ত্রাস দমন ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে আলেমরাই জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারে।’
বুধবার সকালে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় আর্থিক অনুদান ও সুদমুক্ত ঋণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট একটি সময়োপযোগী ও জনবান্ধব ট্রাস্ট। আগামী দিনে এই ট্রাস্টের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করা হবে। ইমাম মুয়াজ্জিনদের কল্যাণে আমরা মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা তৈরির কাজ করছি এবং তাদের জন্য একটি পে-স্কেল ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ র্ট্রাস্টের আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে অসহায় দরিদ্র ৬০০ ইমাম মুয়াজ্জিনকে সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং অনুদান হিসেবে ৪ হাজার ৬২০ জনকে ৫ হাজার টাকা হারে মোট ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলার ২৯৫ জনকে পাঁচ হাজার টাকা হারে ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এছাড়া ঢাকা জেলায় ৭ জন উদ্যোক্তাকে ২০ হাজার টাকা হারে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৭ জন সাধারণ উদ্যোক্তাকে ৩০ হাজার টাকা হারে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ৭ জন বিশেষ উদ্যোক্তাকে ৪০ হাজার টাকা হারে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক, প্রকল্প পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আলেম-ওলামাবৃন্দ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলাই ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের মূল উদ্দেশ্য।
কোনো ইমাম বা মুয়াজ্জিন মারাত্মক দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ব, দুরারোগ্য ব্যাধি ইত্যাদি কারণে অক্ষম হয়ে পড়লে বা আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করলে তাকে আর্থিক সাহায্য ও ঋণ প্রদান, তাদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান এবং তাদের পরিবারের সার্বিক কল্যাণ সাধন করার লক্ষ্যেই ২০০১ সালে এই ট্রাস্ট গঠিত হয়। বর্তমানে ট্রাস্টের সদস্যভুক্ত ইমাম মুয়াজ্জিনের সংখ্যা প্রায় ৮৪ হাজার।
(প্রিয় সংবাদ/১৯ ফেব্রুয়ারি)