২০১৩ সালের ৫ মে রাতে আলো নিভিয়ে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে হতাহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, পুলিশের সাবেক আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার ও বেনজির আহমেদ ও গণজাগরণ মঞ্চের তৎকালীন মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বুধবার প্রসিকিউটরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। সেসঙ্গে এই মামলাসংশ্লিষ্ট কারাগারে থাকা চারজনকে ১২ মে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন— সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলাম।গত বছরের ২৬ নভেম্বর হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সেদিন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৩ সালে শাপলা চত্বরসহ আশপাশের এলাকার ভয়াবহ দৃশ্য সারা পৃথিবীর বিবেকবান মানুষকে কাঁদিয়েছে। মিডিয়াকর্মীদের বের করে, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে। গত এক যুগ ধরে আমরা সেই দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছি। অনেক শহীদ পরিবার তাদের প্রিয়জনের লাশটাও খুঁজে পায়নি। এটি বাংলাদেশের মানুষ ও ইতিহাসের জন্য একটি অভিশপ্ত দিন।
আমরা মনে করি, জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে পারলে দেশের মানুষ অভিশাপমুক্ত হবে।’এদিকে সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর নায়েক মো. সোহেল মিয়াকে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, তারেক আব্দুল্লাহ ও শাইখ মাহাদী।