প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসলে দেশকে আবার ধ্বংস করে দেবে। তারা যদি আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে তাহলে অতীতের মতো লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে খেয়ে ফেলবে। মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। শুক্রবার গণভবনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেননি। ক্ষমতায় ফিরে আসলে তারা জনগণকে কিছু দিতে পারবে না, তারা কেবল লুটপাট ও দুর্নীতি করবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বিএনপি নেত্রী এখন এতিমদের অর্থ আত্মসাতের কারণে কারাগারে রয়েছেন। আমরা রাজনৈতিক কারণে তাকে কারাগারে রাখিনি। আমরা যদি তা করতে চাইতাম তাহলে ২০১৩, ২০১৪ সালেই তা করতে পারতাম। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের দুর্নীতি ও অর্থপাচার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের জনগণের বিএনপি-জামায়াত জোটের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা নেই। এটি প্রমাণিত হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফেরার পর আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর জনগণের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনে। ‘যদি কেউ ব্যক্তিগত লাভের জন্য রাজনীতি করে সেই রাজনীতি দেশকে কিছু দিতে পারে না। সেই ব্যক্তি নিজের জন্য সব কিছু করে। ইতিহাস তাকে ক্ষমা করে না,’ বলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করা হয়, তাহলে রাজনীতিবিদরা দেশকে কিছু দিতে পারেন। এবং আমরা তা করছি। ‘আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করা, তার নিজের ভাগ্য নয়। আমি নিজের ভাগ্য গড়তে রাজনীতিতে আসিনি। আমি শুধু এক জিনিস চাই- মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। সরকার ইতিমধ্যে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং এটিকে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে করতে চায়। আমরা সেই লক্ষ্যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি,’ বলেন শেখ হাসিনা। তিনি উল্লেখ করেন, তার সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধার্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চায়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাওসার এবং সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ।