চট্টগ্রামে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ঘেরাও

পায়েলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে

- Advertisement -

মো.মুক্তার হোসেন বাবু : পায়েল কোনো দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেনি। পায়েলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পায়েল হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েলকে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে ফেলে হত্যার ঘটনায় হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ঘেরাওকালে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পায়েলের স্বজনরা এসব কথা বলেন।
সকাল ১১টায় নগরের গরীবুল­াহ শাহ মাজার গেইট এলাকায় হানিফ পরিবহনের এই কাউন্টার ঘেরাও করা হয়। স›দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশন পায়েল হত্যার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি আয়োজন করে। কর্মসূচিতে পায়েলের পরিবার, স্বজন, সহপাঠী ও বন্ধুরা অংশ নেন। হানিফ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে সমাবেশ করেন তারা। এসময় বক্তারা
খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। পায়েলের বাবা গোলাম মাওলা দ্রুত বিচার আইনে পায়েলের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানান। দোষীদের শাস্তির দাবিও জানান তিনি।
সমকালের চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান সরোয়ার সুমনের পরিচালনায় সমাবেশে একাত্মতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন স›দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বেলায়েত হোসেন, নগর যুবলীগের আহবায়ক মহিউদ্দীন বাচ্চু, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্ণর আমিনুল হক বাবু, পিপলস ভয়েসের সভাপতি শরীফ চৌহান ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণি।
এর আগে গত ২১ জ্লুাই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে বাস থেকে ফেলে হত্যা করা হয় পায়েলকে। ২৩ জ্লুাই গজারিয়া থেকে পায়েলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৪ জুলাই পায়েলের মামা গোলাম সারোয়ারদী বিপ্লব বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় হানিফ পরিবহনের বাসচালক জামাল হোসেন (৩৫), সুপারভাইজার জনি (৩৮) ও হেলপার ফয়সালকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২৫ জুলাই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর জনি ও জামাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে উঠে আসে, কত নির্মমভাবে তারা পায়েলকে হত্যা করে মরদেহ গুমের চেষ্টা করেন।

সর্বশেষ