মো.মুক্তার হোসেন বাবু : আসন্ন ঈদুল আযহার কোরবানী পশুর হাট উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর বিভিন্ন স্থানে ৮টি পশুর হাট ইজারা দিয়েছে। তন্মধ্যে ২টি স্থায়ী ও ৬টি অস্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। স্থায়ী পশুর হাটগুলোর মধ্যে সাগরিকা গরুর বাজার ও বিবির হাট গরুর বাজার এবং অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে কর্ণফুলী নুর নগর হাউজিং এস্টেট, কাটগড় গরুর বাজার, সল্টগোলা গরুর বাজার, স্টীল মিল গরুর বাজার, কমল মহাজন গরুর বাজার ও পোস্তারপাড় ছাগল বাজার রয়েছে। আজ থেকে ঈদুল আযহার ঈদের দিন পর্যন্ত এসব স্থানে কোরবানী পশু বেচা-কেনা চলবে। গতকাল শনিবার দুপুরে নুর নগর হাউজিং এস্টেট ইলিয়াছ বাদ্রাস মার্কেট মাঠে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন ফিতা কেটে কর্ণফুলী পশুর হাট উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সুধি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হাটের ইজারাদার আলহাজ্ব আবদুল মন্নান। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে এমইবি গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিল্পপতি আলহাজ্ব সামসুল আলম, স্থানীয় কাউন্সিলর আলহাজ্ব হারুন উর রশিদ, এম আশরাফুল আলম, হাসান মুরাদ বিপ্লব বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন সকল ব্যবসায়ীরা স্বাধীনভাবে যেকোন হাটে ব্যবসা করার অধিকার রয়েছে। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরার ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারী অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এ উদ্যোগে নগরবাসীসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন নগরবাসী কোরবানী পশু ক্রয়ের সুবিধার্থে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীতে ২টি স্থায়ী ও ৬ অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হয়েছে। পশুর হাটে শান্তিপূর্ণ ভাবে পশু বেচা-কেনার উপর গুরুত্বারোপ করে মেয়র বলেন এতে কোন ধরনের অনিয়ম, বিশৃংখলা বা চাঁদাবাজী করা হলে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে মেয়র সকলকে সতর্ক করে দেন।