চট্টগ্রাম: বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর কোতোয়ালী থানায় এনায়েত বাজার এলাকায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের চট্টগ্রাম ব্যুরো কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এতে সাংবাদিক মিন্টুর সঙ্গে অফিস সহকারী মো. ফারুক আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় এক যুবদল নেতার ভাই জাহিদ ওরফে জীবন এবং এক গাড়ি চালক হামিদ হোসেনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রাইভেট কারের চালক হামিদ হোসেনকে আটক করেছে।
মিন্টু চৌধুরী বলেন, “বেলা ৩টার দিকে এনায়েত বাজার কামাল চেম্বারে নিজ কার্যালয়ে নিচে পৌঁছে ভবনের সামনে মোটর সাইকেলটি রাখছিলাম। এসময় আমাদের অফিস সহকারী ফারুকও সেখানে দাঁড়ানো ছিল।
“মোটর সাইকেলটি রাখার পরই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট কারের চালক ফারুককে গালি দেয়। এ বিষয়ে ফারুকের সাথে তার কথা কাটাকাটি চলার সময়েই জাহিদ ওরফে জীবন লোকজন নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়।”
মিন্টু চৌধুরী বলেন, হামলাকারীরা অর্তকিতে হামলা করেছে। তাদের গতিবিধি দেখে মনে হয়েছে উদ্দেশ্যমূলক ও পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়েছে।
এর পরপরই কোতোয়ালী থানার একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তার আগেই হামলাকারী জাহিদ ওরফে জীবন তার লোকজনসহ সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
হামলার খবর পেয়ে চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতারাসহ জনা পঞ্চাশেক সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হন। এরপর প্রাইভেট কারটির চালক হামিদ হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
গাড়ি চালক হামিদ হোসেন কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা। তিনি নগরীর দেব পাহাড় এলাকার বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর প্রাইভেট কারটি চালান।
হামলাকারী জাহিদ ওরফে জীবন এনায়েত বাজার গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বড় ভাই সামসুল আলম নগর যুবদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
পরে সন্ধ্যার সময় নগরীর কোতোয়ালী থানায় মিন্টু চৌধুরী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
এতে হামলাকারী জাহিদ ওরফে জীবন, গাড়ি চালক হামিদ হোসেন এবং জীবনের অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ-ছয়জন সঙ্গীকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মহসীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার খবর পেয়ে সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। অভিযুক্ত জীবনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
“ঘটনাস্থল থেকে প্রাইভেট কারের চালক হামিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জীবনের বিরুদ্ধে এলাকায় আগেও একাধিক সন্ত্রাসী ঘটনার অভিযোগ আছে। অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। কেন এ হামলা তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।”
এ হামলার ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সারওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখা, ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রামের সভাপতি আবু হানিফ ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান, যুব ইউনিয়ন, যুব মৈত্রী, চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ও চট্টগ্রাম টিভি ক্যামরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। সূত্র: বিডি নিউজ