নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান এলাকায় বাস-লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পরিবারের তিনজনসহ ১৪ জন নিহত ও প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে, দুপুরে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রামের রাজ্জাক মোড়ে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের চালক বাবু (৪০) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এক শিশুসহ আরো ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এদিকে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রাজ্জাকুল ইসলাম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সাইদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহতের পরিবারকে ২০ হাজার এবং আহতদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন-লেগুনার যাত্রী পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি শ্মসানপাড়ার মিন্টু রোজারিও’র স্ত্রী আদরী বিশ্বাস (৩৫), তার ছেলে প্রত্যয় বিশ্বাস (১২) ও ১০ মাস বয়সী কন্যা স্বপ্না বিশ্বাস, লেগুনার চালক নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের আব্দুর রহিম (২৮), বড়াইগ্রামের নারায়ণপুর গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী রজুফা খাতুন (৫০), রুপচাঁদের স্ত্রী শেফালী খাতুন (৩৫), জামাইদিঘা গ্রামের নুরফেল সরদারের স্ত্রী লগেনা বেগম (৫০), টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বাসিন্দা আর আর পি ফিড কোম্পানীর কর্মকর্তা রোকন উদ্দিন (৫৫), পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া মীর কামারী এলাকার সালামত উল্লাহর স্ত্রী শাপলা খাতুন (২১) ও ঈশ্বরদী এলাকার আব্দুস সোবহান (৭৫)। বাকীদের পরিচয় এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি জিএম শামস নুর জানান, শনিবার বিকেল পৌনে ৪টায় কদিমচিলান সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে পাবনা থেকে বগুড়াগামী চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো চ ৫৬৫৯) সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী লেগুনা স্মরণ এন্টারপ্রাইজের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ১০ জনসহ মোট ১৪ জন নিহত ও আরো প্রায় ২৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ৫ জন মহিলা, দুইজন শিশু ও বাকিরা পুরুষ।
আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নাটোর সদর হাসপাতাল, বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতাল ও বনপাড়া আমিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনাস্থলে রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় লেগুনার চালক ভাঙ্গা এড়াতে রং সাইডে গাড়ি ঢুকিয়ে দেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বাস নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে লেগুনার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।