খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রেখে ৫ই জানুয়ারি মার্কা কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রেখে সরকার ৫ই জানুয়ারি মার্কা আরেকটি একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করার নীলনকশা করছে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো পাতানো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্টগ্রামের ভিআইপি টাওয়ারস্থ ভিআইপি ব্যাংকুইট কমিউনিটি সেন্টারে নিজ উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিক্ষক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। নোমান বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকটের সুরাহা করতে হলে দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক সংকটের সুরাহা হবে না। নোমান বলেন, সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। এই যাত্রা সরকারের শেষ যাত্রা, তারা আর ফিরে আসতে পারবে না। এটা সরকার বুঝতে পারছে বলেই বিরোধী নেতাকর্মীদের প্রতি হিংস্র আচরণ করছে। কিন্তু ইতিহাসের চিরাচরিত নিয়মে পতনের স্বাদ আওয়ামী লীগকে গ্রহণ করতে হবে। বিএনপি সঠিক সময়ে চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে সাংগঠনিক প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার কারা ও রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম সম্পাদক নাজিমউদ্দিন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দল সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সহ-সভাপতি এমএ সবুর, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিইউজের সাবেক সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা জাহিদুল করিম কচি, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, আশরাফ চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন জিয়া, মোহাম্মদ আলী, হারুন জামান, এস কে খোদা তোতন, মাহবুব আলম, কামাল উদ্দিন, সৈয়দ আহমদ, অ্যাডভোকেট সাত্তার সারোয়ার, আবু ফয়েজ, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এমএ হালিম, ইউনুচ চৌধুরী, ইসহাক কাদের চৌধুরী, নুর মোহাম্মদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এনামুল হক, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল, পেশাজীবী নেতা ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, পাহাড়তলী, পাঁচলাইশ, কোতোয়ালি, চকবাজার, বাকলিয়া ও হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেন।