রাজধানীতে বিএনপির জনসভার মধ্য দিয়ে উজ্জীবিত হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা, বিপুল লোক সমাগমে মনোবল চাঙ্গা হয়েছে নেতাকর্মীদের। অন্যদিকে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিতে এই সমাবেশ প্রাথমিক সূচনা বলে মনে করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।
জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে, তারেক রহমানকে নানা মামলায় শাস্তি দিয়ে সরকার মনে করছিলো বিএনপি দুর্বল হবে। শনিবারের সমাবেশের মাধ্যমে এটা প্রমাণ হয়েছে বিএনপি সামন্যতম দুর্বল হয়নি। বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়ার পরে সরকার মনে করেছিলো বিএনপি বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাবে। গতকালের সমাবেশে প্রমাণ হয়েছে সেটা হয়নি। সরকারের বিরুদ্ধে, এই অন্যায় অত্যাচার, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে মানুষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা এ থেকে মুক্তি চায়- সমাবেশ সেটা প্রমাণ করে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শনিবারের জনসভায় বিপুল মানুষের সমাগমেই প্রমাণিত হয়েছে জনগণ এ সরকারকে আর চায় না। সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বার বার বাধাগ্রস্ত করছে সরকার। তিনি একের পর এক মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও আবার তা নানা কায়দায় আটকে দিচ্ছে সরকার। সরকারের নির্দেশেই বেগম জিয়া কারাগারে আটকে আছেন।
দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই- শনিবারের জনসমাবেশে নেতাকর্মীরা তাদের মনোবল ফিরে পেয়েছে। আরো দৃঢ় হয়েছে। সরকারের বাধা উপেক্ষা করে তারা জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করেছে। নির্বাচনের আগে এই সমাবেশ সরকারের জন্যও একটি সতর্কবার্তা। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সামনে যে আন্দোলনের কথা আমরা বলেছি তা আরো গতিশীল হবে। এছাড়া এই সমাবেশের মাধ্যমে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের পথ সুগম হবে বলে মনে করেন তিনি।