spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

ভন্ডামীর একটা সীমা থাকা দরকার!

spot_img

 

- Advertisement -

ইউএস বাংলার ফ্লাইট নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আবদুল্লাহ আল মানুন নামে এক যাত্রী। সেখানে তিনি ইউএস বাংলার সমালোচনা করে লিখেছেন,

#Us_bangla_airlines!!!

#ভন্ডামীর একটা সীমা থাকা দরকার!
এমন ভন্ডামী করলে দেশীয় এয়ারলাইন্সের বিকাশ ঘটবে না কখনও।

সকাল ৭:১৫ উড্ডয়নের কথা ছিল ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের পথে। এই ফ্লাইটটির বেশীর ভাগ যাত্রীরই সকালে জরুরী কাজ/মিটিং ছিল সকাল ১০ টায়। এজন্য তাঁদের সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে চট্টগ্রামে থাকা দরকার ছিল।

Us bangla যা করলো-
যাত্রীদের প্রথমে বলল ফ্লাইট ১০ মিনিট দেরী হবে।
কিন্ত সময়ের ২০ মিনিট পর শাটল বাসে তুললো।
এবার বাসে বসিয়ে রাখলো ১০ মিনিট।
বাসগুলো এয়ার ক্রাফট এর কাছে এনে আবার বসিয়ে রাখলো ১৫ মিনিট।
বাস থেকে নামিয়ে লাইনে দাড়ঁ করিয়ে রাখলো আরো ১০ মিনিট
এয়ার ক্রাফটে উঠে দেখা গেলো কারো সিটের ঠিক-ঠিকানা নাই!

আসল ঘটনা-
গতরাতে (প্রায় ২ ঘন্টা দেরিতে) ওমান থেকে ছেড়ে আসা

সকালে কুয়াশার কারণে নাকি চট্টগ্রাম নামতে পেরে ঢাকায় চলে আসে! বেস্ us bangla কর্তৃপক্ষের মাথায় মুনাফা ডুকে গেল। তারা হয়ত ভাবলো- যেহেতু এই ফ্লাইটটা চিটাগং যাবেই সুতরাং চট্টগ্রামের যাত্রীদের এই ফ্লাইটে উঠিয়ে দিলেই হয়! বহু টাকার খরচ বেচে যাবে। মুনাফা ভাল হবে। সম্ভবত এটাই কারণ। (গ্রাউন্ডে ওদের এয়ার ক্রাফট অলস পড়ে থাকতে দেখেছি।)

কিন্ত us bangla ভাবলো না যে কত মানুষের মিটিং মিস্ হবে, সিডিউল লন্ডভন্ড হবে, কত রকম জটিলতা সৃস্টি হবে! আমার পাশে বসা ওমান থেকে আসা যাত্রী জানালেন তিনি প্রায় ১০০০ কি.মি. জার্নি করে ফ্লাইট ধরেছেন, ওনার আত্বীয়রা সেই মধ্যরাত থেকে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে বসে আছেন ওনার অপেক্ষায়! আর এক চট্টগ্রামের যাত্রীর কথা জানি যিনি চট্টগ্রামে অন্তত ৩টা কাজ সেরে আবার ঢাকায় ফিরে রাতে সিঙ্গাপুরের ফ্লাইট ধরার কথা, তিনি এখন ভাবছেন অন্তত একটা কাজ করতে পারবেন কিনা!

আর একটা বিষয় না বললেই নয়। এয়ার ক্রাফটে উঠে দেখা গেলো ওমান থেকে আসা যাত্রীরা সামনের দিকের সিটে বসে আছেন। ঢাকা থেকে উঠা যাত্রীরা তাঁদের সীট পাচ্ছেন না। এক ভদ্র মহিলা কেবিন ক্রো কর্তৃক পিছনে বসার রিকুয়েস্ট প্রত্যাখান করলেন। ওমান থেকে আসা যাত্রীরা বলল আমাদেরকে ডেকে ডেকে সামনে নিয়ে আসছে-আমরা পিছে যাবো না। কারণ বুঝলাম নাস্তা দেয়ার সময়। কেবিন ক্রুরা নাস্তা পরিবেশনের সময় ডাকতে লাগলেন: কারা ঢাকা থেকে উঠছেন??? ঢাকার যাত্রীদের নাস্তা দিলেও ওমান থেকে আসা যাত্রীদের দিলো পানি!

us bangla এর কাঠমুন্ডু ট্রাজেডির পর ওরা বারবার বলতো : দেশীয় এয়ার লাইন্সের পাশে দাঁড়ান।

এমন করলে মানুষ পাশে দাড়াঁবে কেমনে?

আবদুল্লাহ আল মানুন এর ফেসবুক থেকে

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ