ডেস্ক রিপোর্ট: গার্মেন্টস মালিক এবং সরকারের সমঝোতার মাধ্যমে যে ন্যূনতম মজুরি ৮০০০ হাজার টাকা ঘোষণা করেছে তা মেনে নেয়া যায় না বলে তা প্রত্যাখান করেছেন গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার।
এ প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলাকে জলি তালুকদার বলেন, আমাদের দাবি ছিল ১৬০০০ টাকা।তাও আমরা দুই বছর আগে দাবি করেছিলাম।বর্তমান বাজার দরের সাথে একটা চার পাচঁ জন সদস্যের পরিবারের জন্য সরকার ঘোষিত এ বেতন পর্যাপ্ত নয়।সাধারণ সম্পাদক বলেন, মজুরি বৃদ্ধির উদ্যোগ শ্রমিকদের আন্দোলনে বাধ্য করা হয়েছে।দেশে আন্দোলনের চাপে মজুরি বোর্ড গত জানুয়ারিতে গঠিত হয়।মজুরি বোর্ডে শ্রমিকদের প্রকৃত প্রতিনিধিদের নেয়া হয়নি।ফলে শ্রমিক প্রতিনিধিরাও মালিকদের পক্ষে কথা বলেছেন।
মজুরি বোর্ডে কারা যাবেন, সেটা মন্ত্রণালয় ও সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা হয় বলে জানান, জলি তালুকদার।তিনি বলেন,আমরা প্রতিবারই চাপ দেই কিন্তু যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা ক্ষমতার জোরে তাদের প্রতিনিধি পাঠান।এবারও দুইজন সরকারি দলের শ্রমিক নেতাদের সাথে নিয়ে সরকার বিজিএমইএ এ বেতন কাঠামো নির্ধারণ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন,গতবার যে মজুরি ৫৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা অনেক মাঝারি ও ছোট গার্মেন্টসগুলো মানে নি।এটা কার্যকর করা একটা কঠিন ব্যাপার হয়ে যায়।
মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কাজের মাত্রা বাড়িয়ে দেন গার্মেন্টস গুলো।এতে কাজের ক্ষেত্রে খুব চাপে পড়তে হয় শ্রমিকদের।বিজেএমইর অন্তর্ভুক্ত গার্মেন্টস গুলো সাধারণত আইন মানেন না বলেন এ সাধারণ সম্পাদক।আলাদা আলাদা করে ফ্যাক্টরিতে আন্দোলন করে দাবি মানাতে হয় বলে অভিযোগ করেন জলি তালুকদার।