spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

চুলে রং করার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানেন তো!

spot_img

 

- Advertisement -

সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে আর একই সঙ্গে স্টাইল করতে অনেকেই চুল রং করে থাকেন। নারী-পুরুষ উভয়েই নিজের মনের মতো করে চুল সাজিয়ে নেন পছন্দের রঙে। কিন্তু চুলে করা এই নানা ধরনের রঙের মারাত্মক ভয়াবহ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে তা কি জানেন? অনেকেই এই সম্পর্কে একেবারেই অবগত নন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।

১) অ্যালার্জি: অনেকের ত্বক বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকে। ফলে সামান্য রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসা মাত্রই অ্যালার্জির সমস্যা শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ পিপিডি অনেক বেশি অ্যালার্জি উদ্রেককারী রাসায়নিক যার প্রভাবে মাথার ত্বকে চুলকুনি, জ্বালা, ফুলে যাওয়া, র‌্যাশ ওঠা, খুশকি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও অ্যালার্জি যদি মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায় তাহলে চোখ ফুলে যাওয়া, চোখ, নাক ও মুখের চারপাশের ত্বকে অ্যালার্জির প্রকোপে র‌্যাশ দেখা দিতে পারে।

২) অতিরিক্ত চুল ভেঙে পড়া: শুধু সুন্দর দেখানোর জন্য চুলে রং করলেন, কিন্তু এই কারণে আপনার চুলই রইল না, তা তো কখনওই কাম্য নয়! অতিরিক্ত চুলের রং ব্যবহার করলে চুল ঝরে যাওয়ার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। চুল রঙের ক্ষতিকর রাসায়নিক চুলের ফলিকল একেবারেই নষ্ট করে দেয়।
ফলে চুলের মাঝখান থেকে চুল ভেঙে যেতে শুরু করে এবং নতুন চুল গজানোতেও বাধা সৃষ্টি করে।

৩) হাঁপানি: অবাক হলেও একথা সত্যি যে, চুলের রঙের জন্য হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে বা বাড়তে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত চুল রং করেন, তাদের ত্বকে অ্যালার্জি বা হাঁপানি হওয়ার প্রবনতা অনেকটাই বেশি। এখানেও কাজ করে সেই একই ক্ষতিকর রাসায়নিক পিপিডি।

৪) ক্যান্সার: দ্য অ্যামেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি-র গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পিপিডি মানুষের ডিএনএ সেল নষ্ট করে ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন করতে পারে। এই রাসায়নিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতেও সক্ষম। যার ফলে স্তন ক্যান্সারের আশঙ্কাও অনেকটাই বেড়ে যায়। যদিও চুল রং করার রাসায়নিক মিশ্রণে এই পিপিডি নামক বস্তুটি পাওয়া গিয়েছে খুবই সামান্য পরিমাণে তা সত্ত্বেও বিষয়টি নিয়ে আরো সতর্ক হওয়া উচিত।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ