দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হতে নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ আজ শুনানী নিয়ে রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন।
আদালতে আমির মাহমুদ চৌধুরী খসরুর পক্ষে ছিলেন, ব্যারিষ্টার মওদূদ আহমদ। তার সঙ্গে ছিলেন আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবি খুরশিদ আলম খান। আদেশের পর তিনি বলেন, হাইকোর্ট আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। এ আদেশের ফলে তাকে দুদকে হাজির হতে হবে। অন্যদিকে আমির খসরুর আইনজীবি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, আমরা এ আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করবো।
উল্লেখ্য, গত ১৬ই আগস্ট দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আমির খসরুকে ২৮শে আগস্ট সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। ওই চিঠিতে সাবেক মন্ত্রী ও চট্টগ্রাম চেম্বার্স অব কমার্সের সাবেক সভাপতি আমির খসরুর বিরুদ্ধে বেনামে পাঁচতারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার এবং নিজ স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যের নামে শেয়ার কেনাসহ জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের কথা বলা হয়।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, নোটিশের পর আমির খসরু একমাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। এরপর তাকে সময় দিয়ে ১০ই সেপ্টেম্বর হাজির হতে আরেকটি নোটিশ দেয় দুদক। তিনি নোটিশের বৈধতা নিয়ে গত ৩রা সেপ্টেম্বর রিট করেন। গত ৫ই সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এরপর অন্য বেঞ্চে আবেদনটি কার্যতালিকাভুক্ত হলে ১০ই সেপ্টেম্বর সময় চান আমির খসরুর আইনজীবীরা। ওইদিন আদালত নট টু আদেশ দেন।