স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা দিয়ে কথা রাখেননি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা সমস্ত সিনিয়র নেতারা অসুস্থ বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য তাঁকে (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী) অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তিনি কথা রাখেননি।’
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০ দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর বহুদলীয় মতবিনিময় সভা’য় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই রকম একটা নির্মম পাশবিক সরকার গোটা দেশকে জিম্মি করে রেখেছে। এদেরকে সরকারও বলা ঠিক হবে না। এরা অবৈধ ইলিগ্যাল সরকার। গায়ের জোরে প্রশাসনের জোরে বন্দুক- পিস্তলের মাধ্যমে ক্ষমতায় আছে। তারা সুপরিকল্পতি ভাবে দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকারের একদিন বিচার হবে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অবৈধ সরকার জানে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে তাদের অবৈধ ক্ষমতার তক্তে তাউস ধূলোয় উড়ে যাবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাড়ে চার হাজার গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। তারা(সরকার) এখন ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত। সরকার বুঝতে পেরেছে বিএনপি নির্বাচনে গেলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না তাই বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
মির্জা ফখরুল সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এইভাবে কি ক্ষমতায় থাকা যায়? আমরা জানি আল্লাহ আপনাদের বিচার করবেন। জনগণও অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেয় না। ১০ বছর ধরে ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না ভয়াবহ দুঃশাসনের জাতাকলে জনগণ প্রতিনিয়ত নিষ্পেষিত হচ্ছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যখন কোনো স্বৈরাচার সরকারের কনফিডেন্সের অভাব দেখা দেয় তখন তারা এমন নির্যাতনের পথ বেছে নেয়। ১৬ কোটি মানুষের ওপর পাথর চাপিয়ে আর কয়দিন ক্ষমতায় থাকবেন? এত ভয় করেন কেন? ১০ বছরে বহু রক্তে রঞ্জিত হয়েছে আপনাদের হাত।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনে তো যেতেই চাই আমরা। কিন্তু যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারে না সেই নির্বাচনে নয়। এই রকম ভাঙ্গালোক দিয়ে নির্বাচন হবে না। পুলিশ দেখলে যারা ভয় পায় এরা নির্বাচন পরিচালনা করবে কী করে।’
মির্জা ফখরুল নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের কথা খু্ব পরিস্কার। দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন। সমস্ত নেতাকর্মীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সেনা মোতায়েন করুন।’
ফখরুল আরো বলেন, ‘ঐক্যের বিকল্প নেই সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে দানব সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নূর হোসেন কাসেমীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। এনটিভি