ডেস্ক রিপোর্ট: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি অমানবিক, মৌলিক অধিকার বিরোধী এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার বিরোধী একটি আইন। এ আইনটি থাকলে দেশে কোনো মিডিয়া থাকতে পারবে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলাপকালে আমাদের নতুন সময়কে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা যেমন বলেছিলাম, তথ্য অধিকার আইনটিকে সম্পৃক্ত করা হোক। সেই তথ্য অধিকার আইনটিকে আনা হয়েছে। কিন্তু আজ থেকে কয়েক বছর আগে তথ্য অধিকার আইন করার মধ্য দিয়ে আমরা ১৯২৩ সালের অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্টটিকে এক রকম বাতিল করে দিয়েছিলাম। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারায় সেটিকে আবার সংযুক্ত করা হয়েছে।আর আমরা বলেছিলাম যে, সাংবাদিকদের, বিশেষ করে গণমাধ্যমকর্মীদের বেলায় এ আইনটি প্রয়োগের সময় জাতীয় প্রেসে কাউন্সিলকে যেন সম্পৃক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কারণ প্রেস কাউন্সিলে সরকারের প্রতিনিধি আছে, সংসদের প্রতিনিধি আছে, সাংবাদিকদের প্রতিনিধি আছে। কাজেই সব মিলিয়ে এই সবগুলো ধারাই আমাদের প্রত্যাশার সঙ্গে যায় না। আমরা মনে করি যে এই আইনটি এভাবে পাস হওয়ায় সাংবাদিকদের হতাশা বাড়বে, উদ্বেগ বাড়বে এবং সুস্থ সাংবাদিকতায় একটা আতঙ্ক বাড়বে।
আমরা কোন ভাবেই এই আইনটিকে মেনে নিতে পারি না। কোন সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ এই আইন মানতে পারে না। আমরা সাংবাদিকরা এই আইনের সংশোধন চাই। যদি আইনটি সংশোধন না করা হয় তাহলে সাংবাদিক সমাজ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।